নিজস্ব প্রতিবেদক :
উৎসব ও ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যের মাধ্যমে পূজাঅর্চনা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদি সহযোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পূজা ও দীপাবলি উৎসব। শ্যামাপূজা উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন কালী মন্দিরসহ অন্যান্য এলাকার মণ্ডপগুলোকে সুসজ্জিত করা হয়।
দীপাবলি উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিভিন্ন মন্দির, পূজামণ্ডপ ও হিন্দুদের ঘরে ঘরে সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। মন্দির-মণ্ডপ ছাড়াও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শ্মশানে প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপাবলির আয়োজন করা হয়।
‘দীপাবলি’ অর্থ প্রদীপের সারি। দীপাবলির আলোয় দূর হবে সকল অশুভ শক্তির, ঘটে শুভ শক্তির আবির্ভাব। দীপাবলি হচ্ছে শ্যামা পূজার অন্যতম আকর্ষণ।
এদিকে করোনা মহামারীর কারণে প্রতিটি পূজামণ্ডপেই আয়োজন ছিল সীমিত। পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসা ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক পড়ায় ছিল কড়াকড়ি। প্রায় প্রতিটি পূজামণ্ডপের প্রবেশমুখে লেখা ছিল ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’।
গতকাল বিকালে সরেজমিন নগরীর জে এম সেন হল, সদরঘাট কালী বাড়ি, হাজারীলেইন, টেরীবাজার রঘুনাথবাড়ী, টেরীবাজার বাইলেইন, চট্টেশ্বরী কালী বাড়ি, গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালী বাড়ি, গোসাইলডাঙ্গা মহাশ্মশান কালী মন্দির, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালী মাতা মন্দির, করুণাময়ী কালী বাড়ি, ব্রহ্মময়ী কালী বাড়ি পূজামণ্ডপ ঘুরে চোখে পড়ে এমন চিত্র।
গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় দীপাবলি উৎসব এবং মধ্যরাতে হয় পূজা। এছাড়া ছিল যজ্ঞসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। এসব আনুষ্ঠানিকতা চলে ভোর প্রায় পাঁচটা পর্যন্ত। পূজা শেষে ভক্তদের দেওয়া হয় অঞ্জলি ও পাঠা বলি। করোনার কারণে এবার পূজামণ্ডপগুলোতে ছিল না প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শ্যামা হচ্ছেন অশুভ শক্তির বিনাশকারী মাতৃরূপিণী দেবী। সব অন্ধকার দূর করে শ্যামা মা জগতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন।
পুরাণ মতে কালী দেবী দুর্গারই অপর এক শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা শক্তির পূজা ও শক্তির আরাধনা। জগতের অশভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য।