নিজস্ব প্রতিবেদক »
এ বছরের মতো পবিত্র মাহে রমজান প্রায় শেষ হতে চললো। ঈদের বেচাকেনা নিয়ে এবার হতাশ থাকা বিক্রেতারা যেন আশার আলো দেখলেন ক্রেতাদের কেনাকাটার তোড়জোড় দেখে। গতকাল বুধবার থেকে হঠাৎ করেই ঈদের কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়। যারা এতোদিন বিভিন্ন কারণে ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ নতুন পোশাক কেনাকাটা করেননি তাদের সকলে ভিড় করছেন নগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলোতে। বিক্রেতারাও বলছেন গত দিনের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে।
নগরীর নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেক দোকানেই নারী পুরুষ সব বয়সী মানুষের ভিড়। সব পোশাকেরই সমান চাহিদা সেখানে লক্ষ্য করা গেছে। তবে পুরুষদের জামা কাপড়ের দোকানগুলোতে বিশেষ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শেষ মুহূর্তে পছন্দের পাঞ্জাবিটি বেছে নিচ্ছেন অনেকে। সেই সাথে ঈদের অন্যান্য দিনগুলোতে পরার জন্য আরামদায়ক হাফ শার্ট, ফুল শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়াও রাখছেন কেনাকাটার তালিকায়। পুরুষদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে এসব পোশাকে এই সময় বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছেন দোকানিরা। নির্ধারিত পোশাকে পোশাকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা। ঈদের পোশাকগুলোর ডিজাইনের চাহিদা ঈদের পর না থাকার আশংকায় এবং এ বছর তুলনামূলক বিক্রি কম হওয়ায় বিক্রেতারা এ ধরনের ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা রাখছেন যাতে পণ্যগুলোর স্টক ক্লিয়ার করা যায়। এছাড়া নারীদের শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ এবং বাচ্চাদের পোশাকেরও গড় দাম নির্ধারণ করে দিয়ে বিক্রি করেছেন দোকানিরা।
তাহিরা সুলতানা নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সময় পাইনি এতদিন কেনাকাটা করার। তাই আসা হয়নি। আজকে সময় পাওয়ায় নিজের জন্য আর জায়ের জন্য শাড়ি কিনবো।’
নাহিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এ কদিন খুব গরম ছিলো। তাছাড়া ছুটি ছিলোনা বলে রোজা রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব হয়নি আজকে এলাম। এখন গরমে আরাম হয় এমন কিছু টি-শার্ট দেখছি। একটা পাঞ্জাবি নিলাম ঈদের দিনে নামাজ পরার জন্য।’
নিউমার্কেটের ওয়েস্টউডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘গতদিনগুলোর তুলনায় আজকে মোটামুটি বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আমরা আমাদের পণ্যগুলোতে ডিসকাউন্ট দিয়ে দিয়েছি। আমাদের নতুন প্রডাক্ট যেগুলো ২৬’শ ৫০ টাকা, ২৫’শ ৫০ টাকা ছিলো সেগুলো আমরা ১৫০০ করে বিক্রি করেছি। যেহেতু আমাদের বিক্রি কম এবং কিছু প্রডাক্টের সাইজ সিরিয়াল ভেঙে গেছে। তাই সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়টা রেখেছি। তবে এই ছাড়টা কেবল পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।’
ইনফিনিটির সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ এস এম সাকের আলম বলেন, ‘আজকের দিনটাতে তুলনামূলক বিক্রি ভালো। মানে আজকের বিক্রিটা গত দিনের তুলনায় বেশি বলা যায়। গরমের কারণে টি-শার্ট টাইপের প্রডাক্ট বেশি চলছে। তবে আমাদের প্রডাক্টগুলো সবই সামার বেইজড। ’
ডিমান্ডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ বলেন ‘গত বছরগুলোতে আমাদের যেভাবে বিক্রি হয়েছে, এ বছর তেমন বিক্রি নেই। তবে বিগত দিনগুলোর তুলনায় আজকে একটু বিক্রি হচ্ছে। আমরা নতুন প্রডাক্টগুলোতে ডিসকাউন্টও রেখেছি। যেগুলোর সাইজ সিরিয়াল ভেঙে গেছে। আমরা ঈদেই এসব পণ্যের স্টক ক্লিয়ার করতে চাইছি।’