সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
প্রতিপক্ষ গতবারের চ্যাম্পিয়ন ও এবারের আসরের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর একটি ব্রাজিল। নিশ্চিতভাবেই সোনার পদকের লড়াইয়ে স্পেনের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। তবে পেদ্রি সেসব নিয়ে ভাবছেন না, বরং ব্রাজিলিয়ানদের বিপক্ষে লড়াইয়ের রোমাঞ্চ টানছে তাকে। স্পেনের তরুণ সেনসেশন বললেন, সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে পছন্দ করেন তিনি, আর তাই ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হতে চেয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার পুরুষ ফুটবলের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে জাপানকে ১-০ গোলে হারায় স্পেন। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্যভাবে শেষের পর ১১৫তম মিনিটে মার্কো আসেনসিওর গোলে ফাইনালের টিকেট পায় স্প্যানিশরা। শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে পার হতে হবে ব্রাজিল বাধা। ১৮ বছর বয়সী বার্সেলোনা মিডফিল্ডার মানছেন, কাজটা সহজ হবে না মোটেই। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জটা তার চাওয়া ছিল আসরের শুরু থেকেই।
“আমি (আসরের) শুরু থেকেই ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিলাম। আমি সবসময় সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে চেষ্টা করি।” “এটা একটি কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে, তারা ভালো ফুটবল খেলে। তারা খুবই টেকনিক্যাল এবং বল নিয়ে উপভোগ করতে পছন্দ করে।”
গত ১২ মাসে টানা ফুটবল খেলার ধকলে পেদ্রির ক্লান্তি নিয়ে কথা হচ্ছে অনেক। বছর জুড়ে রোনাল্ড কুমানের বার্সেলোনা দলে মাঠ মাতানোর পর লুইস এনরিকের দলের হয়ে খেললেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। এখন তিনি ব্যস্ত অলিম্পকসে। তবে ক্লান্তি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন পেদ্রি। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে দলের জন্য সেরাটা দেয়াটাই তার লক্ষ্য।
“আমি ভালো অনুভব করছি। আমি নিশ্চয়ই অনেক ক্লান্ত, মানুষদের এমন কথা বলাটা স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতি ম্যাচের পর আমি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করি। দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার জন্য সবাইকে যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে।”
অলিম্পিক সোনার পদক নাকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা-যেকোনো একটি বেছে নেওয়ার প্রশ্নে পেদ্রি বলেন, তার কাছে দুটিই মর্যাদার। সুযোগ পেলে জিততে চান দুটিই।
“আমি দুটিই জিতে চাইব। এটা সত্যি যে গেমস (চার বছরে) মাত্র একবারই আসে, তবে আমি দুটিই চাই।”