চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের পূর্বপাশের খোলা মাঠটি মূলত আউটার স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত। এখানে বছরজুড়েই হতো মেলার আয়োজন। গরুর মেলা (ক্যাটল এক্সপো) থেকে শুরু করে বাণিজ্য মেলা- এমন কোনো মেলা নাই যা আউটার স্টেডিয়ামে হয়নি। এমনকি ট্রাক রাখার স্থান হিসেবেও এই মাঠকে ব্যবহার করা হয়েছে।
খেলার মাঠ মেলামুক্ত রাখার দাবি চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের। সেই দাবি পূরণে অনেকদূর এগিয়ে গেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ইতোমধ্যে আউটার স্টেডিয়াম দখলমুক্ত হয়েছে। সীমানা বেষ্টনির কাজ শুরু হবে প্রথমে। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে খেলার মাঠে ফেরার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন জেলা প্রশাসক।
আউটার স্টেডিয়ামের একটি স্ট্রাকচারাল ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। যেখানে দেখানো হয়েছে আউটার স্টেডিয়ামে কি কি থাকছে। সংস্কার করা হবে পুরো মাঠ। বর্তমান মাঠের ওপর দুই ফুট মাটি ফেলে ভরাট করা হবে। এরপর সেখানে সবুজ ঘাস লাগিয়ে সেটিকে খেলার উপযোগী করা হবে। পুরো আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট, এরমধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে ক্রিকেটের নেট প্র্যাকটিস ব্লক। যেখানে থাকবে চারটি নেট। আর স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য হবে গ্যালারি। সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া থাকবে ড্রেসিং রুম ও একটি টয়লেট ব্লক।
মাঠের চারপাশে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করতে লাগানো হবে গাছ। যাতে একটি প্রাকৃতিক পরিবেশ পাওয়া যায়। মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোনায় মূল প্রবেশ পথ ছাড়াও মাঠের পূর্ব পাশে আরেকটি প্রবেশ পথ থাকবে। তবে সেটি ইমার্জেন্সি কাজে ব্যবহার করা হবে। সবমিলিয়ে নতুন ডিজাইনে আউটার স্টেডিয়াম হবে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা।
আউটার স্টেডিয়াম চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের অনেক বড় একটি ঐতিহ্য। যেখান থেকে দেশের তারকা ফুটবলার আশিষ ভদ্র, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, তামিম ইকবাল, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে।
নগরবাসীর একটি প্রাণের দাবি পূরণ হতে চলেছে। আবারও আউটার স্টেডিয়াম তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।
শুধুই খেলা আউটার স্টেডিয়ামে
খেলার মাঠে আর নয় মেলা