শীতের শুরুতে জ্বর-সর্দি-গলাব্যথা এড়িয়ে চলবেন যেভাবে

ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রভাত ডেস্ক  »

শীতে শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে কম তাপমাত্রার সংযোজন আর ধুলোবালির উপদ্রব, সব মিলিয়েই সৃষ্টি করে কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এজন্য প্রয়োজন কিছু সতর্কতা। শীতের শুরুতে অনেকেই সর্দি-জ্বরে ভোগেন। এখন সকালের দিকে গরম আর রাত পড়তেই হালকা শীত শীত ভাব। এমন মৌসুমে কিন্তু ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা খুব বেশি।

তাই যারা যাতায়াত করেন, তারা গরমের পোশাক পরে, গলা ঢেকে বাইক চালান। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে, তারা এই সময়টা খুব সাবধানে থাকবেন। সঙ্গে অবশ্যই ইনহেলার রাখুন। খুব বেশি শ্বাসকষ্ট হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দেরি করলে কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের বেশি সাবধান হতে হবে।

শীতের মৌসুমে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে—

১. এই সময়ে কখনো কখনো ফ্যান, এসি না চালালে গরম লাগে, আবার চালালে ঠান্ডা লাগে। গরম লাগছে বলে খুব জোরে ফ্যান চালাবেন না ভুলেও, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যেন না করা হয়, সে দিকেও সতর্ক থাকুন।

২. যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে, তারা এই মৌসুমে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না ভুলেও। শীতের সময়টা হালকা গরম পানিতে গোসল করাই ভালো। ভোরবেলা হোক কিংবা অফিস থেকে ফিরে— যখনই গোসল করবেন, গরম পানিতে করুন।

৩. শীতের সময়ে অল্প সর্দি-কাশি হলেও আগে থেকেই লবণ পানিতে গার্গোল শুরু করুন। গরম পানির ভাপ নিন নিয়মিত।

৪. বাড়িতে কারও সর্দি-কাশি হলে শিশুদের তার কাছে যেতে না দেওয়াই ভালো। অফিসের ভিতরে এসিতেই অনেকটা সময় কাটে অনেকের। অফিসে কারও সর্দি-কাশি হলে নিজেকে সাবধানে রাখুন। প্রয়োজনে তাকে মাস্ক পরতে বলুন বা নিজে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। হাত না ধুয়ে মুখ-চোখে কিংবা নাকে হাত দেবেন না। বাইরে বেরোলে মাঝেমাঝেই হাত স্যানিটাইজ করুন।

৫. এই সময়ে পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন লেবু, কমলালেবু, আমলকী বেশি করে রাখতে হবে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভিটামিন সি সাহায্য করে।