অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিদর্শনে প্রশাসক সুজন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
অযতœ আর অবহেলায় পড়ে থাকা দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের অধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচালিত বলুয়ার দীঘি পাড়ের অভয়মিত্র মহাশ্মশান। যেখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সৎকার করা হয়। মহাশ্মশানটি প্রায় ১৭-১৮ বছর ধরে প্রতি বর্ষা মৌসুমে ও জোয়ারের পানিতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবছে। গত ১৯ আগস্ট হাঁটু পানিতে সৎকারের একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ নিয়ে শনিবার (২২ আগস্ট) সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর প্রথম পাতায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিদর্শনের কথা জানান। এরই প্রেক্ষিতে তিনি শনিবার সকালে অভয়মিত্র মহাশ্মশান সরেজমিন পরিদর্শনে যান।
এসময় তিনি মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদ, এলাকাবাসী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা প্রশাসক সুজনকে জানান, অনেক বছর ধরে হাঁটু সমান পানিতে মরদেহ দাহ কাজ চলছে। খালসংলগ্ন অভয়মিত্র মহাশ্মশানটি একটু নিচু হওয়ায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি উঠছে। বৃষ্টির সময় পানি বেড়ে যাওয়ায় মরদেহ রাখার জায়গা থাকে না। অনেক সময় জোয়ার-ভাটা দেখে মরদেহ সৎকারের করতে হয়।
এ সময় চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, মাটি ভরাট করে অভয়মিত্র মহাশ্মশান উঁচু করা হলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারবে না। এ সময় তিনি মহাশ্মশানটির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহাশ্মশানের জন্য অনুদান পাঠিয়েছেন। আগামীতে তিনি মহাশ্মশানের উন্নয়নে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী থাকলে হয়তো এতদিন এ দুর্ভোগ থাকতো না।
প্রশাসক বলেন, মহাশ্মশানটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচালনাধীন। তাই একটি সুন্দর পরিকল্পিত মহাশ্মশান করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ মহাশ্মশান উন্নয়নের জন্য যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। এজন্য সব মহলের মতামত ও পরামর্শ নেয়া হবে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মহাশ্মশান উঁচুকরণ ও সংস্কারের জন্য প্রতিবছর নানা উদ্যোগ নেওয়া হতো। কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন কিছুই হয়নি। মহাশ্মশানের পেছনে বয়ে যাওয়া চাক্তাই খালে সøুইসগেট স্থাপন করলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে এখন আর সময় নষ্ট করার সময় নেই। আশা করছি খুব শীঘ্রই মহাশ্মশানটির উন্নয়ন কাজ শুরু করব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কিষান চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর পেয়ার মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট তপন দাশ, রুমকী সেনগুপ্ত, ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ দাশ, অজয় বনিক, টুনটুন চক্রবর্তী, কুতুব উদ্দিন সেলিম, আবু জাফর চৌধুরী, সেকান্দর আলী, রফিকুল আলম বাপ্পী।