সুপ্রভাত ডেস্ক »
মৌসুম বদলের এই সময়ে তাপমাত্রার ওঠানামা চলছেই। শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ভোগে এই সময়টাতে। আজ জ্বর, তো কাল পেটের রোগ। ক্লান্তি, বমিভাব, খিদে নেই। ডায়রিয়াও ভোগায় শিশুদের। এই অবস্থায় কী করা উচিত তা জেনে রাখা জরুরি বাবা-মায়েদের।
এই বিষয়ে শিশু চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল বলছেন, ‘নিছকই পেটগরম থেকে জ্বর নয়। ভাইরাল সংক্রমণও হয়ে থাকতে পারে অন্ত্রে। সংক্রমণ থেকেই ঘন ঘন জ্বর এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। চিকিৎসার ভাষায় একে বলে ‘স্টমাক ফ্লু’। সে কারণেও পেটে ব্যথা হতে পারে শিশুদের।’
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, অন্ত্রে সংক্রমণ হলে তাকে ‘ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস’ বলা হয়। সহজ কথায়, পেটের ভিতর ভাইরাসের সংক্রমণ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বলে অনেকে গুলিয়ে ফেলেন, আসলে তা নয়। খাদ্যনালিতে অনেক ভাল ব্যাক্টেরিয়াও থাকে, যারা খাবারের পরিপাকে সাহায্য করে। কিন্তু বাইরে থেকে কোনও সংক্রামক ভাইরাস সেখানে ঢুকে পড়লে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। পেটখারাপ, বমি এবং তা থেকেই জ্বর চলে আসে। সেই জন্য খাওয়াদাওয়ায় অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে বাবা-মায়েদের।
বাবা-মায়েরা যা যা মনে রাখবেন?
হোটেল-রেস্তরাঁয় গিয়ে বিরিয়ানি, রোল, চাউমিন, প্যাকেট প্যাকেট চিপস, রেড মিট খাওয়ার অভ্যাস যদি শিশুর থাকে তা হলেও তা পেপটিক আলসারের ঝুঁকি বাড়াবে। তাই শিশুকে ঘরে তৈরি খাবারই খাওয়াতে হবে।
বাইরের জল খেতে দেওয়া চলবে না। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে রাস্তার শরবত, নরম পানীয় বা প্যাকেটের ফলের রস শিশুকে দেবেন না।
রাস্তার খাবার একেবারেই নয়। বিশেষ করে রাস্তায় বিক্রি হওয়া আইসক্রিম, বরফের গোলা ইত্যাদি না খাওয়াই ভাল।
রাস্তায় বিক্রি হওয়া কাটা ফল, বা দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা স্যালাড খাওয়া চলবে না। ফল খাওয়ালে ভাল করে ধুয়ে তবেই শিশুদের দিতে হবে।
বাড়িতে ভাত, ডাল, কম তেলে রান্না মাছের ঝোল, চিকেন স্ট্যু খাওয়াতে হবে। জল ফুটিয়ে খাওয়ালে সবচেয়ে ভাল হয়।
নিরাময়