নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ বলে একটা কথা আছে ,কিন্তু এই ভবিষ্যৎ কীভাবে সুন্দর ও সুরক্ষিত হবে তা অনেকেই জানেন না। ফুলকিতে কিন্তু আমরা এই পথটাই তৈরি করি।আমরা শিশুদের একটি আনন্দময় শৈশব উপহার দিতে চাই।তাদের কৈশোরটি যেন একটি ফুটন উন্মুখ ফুলের মতো হয় সেই ব্যবস্থাটা করতে চাই।’ ফুলকি-ইস্পাহানি শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ এর উদ্বোধনী দিনে ফুলকির সর্বাধ্যক্ষ শীলা মোমেন এসব কথা বলেন।
১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্ত মঞ্চে শুরু হয়েছে শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক জগত ফুলকির আয়োজনে ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী ফুলকি -ইস্পাহানি শিশু কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৩।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছড়াকার সুকুমার বড়–য়া। তিনি বলেন,‘আমি যখন গান লিখতাম তখন গান শোনার এতো কিছু ছিলো না। আমার আত্মীয়ের গ্রামোফোন থেকে গান শুনতাম। এতো মোবাইল ফোন, টিভি , রেডিও ছিলো না। এখন ছেলে-মেয়েরা এসব পাচ্ছে। সবকিছু সহজ হয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা আনন্দের সাথে নাচ গান শিখছে, আবৃত্তি করছে দেখে ভালো লাগছে।’
ফুলকি ট্রাস্টের সভাপতি কবি সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ‘আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমরা অনেককিছু বাংলাদেশে প্রথম শুরু করেছি। আমরা প্রথম বলেছিলাম শিশুদের মেধার তুলনা করা যায় না। শিশুদের পড়ালেখার পরিবেশ হতে হবে আনন্দময়। আমরা বলেছিলাম কেবল পাঠ্যবই পড়ে শিক্ষিত হওয়া যায় না। পাঠ্যবইয়ের সাথে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম যুক্ত করতে হবে। তাই বলতে পারি আমরা (ফুলকি) অনেকক্ষেত্রে পথ প্রর্দশন করছি।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক ওমর কায়সার ও সহজপাঠ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সৈয়দা খুরশীদা বেগম।
সাংস্কৃতিক আয়োজনে ছিলো ফুলকি ছাড়াও অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির জয়নুল আবেদনি আর্ট গ্যালারেিত ছিলো শিক্ষার্থীদের আঁকা ২৫০টি ছবির প্রদর্শনী উদ্বোধন। ছিলো নাট্যপালা ‘বক বধ’।