সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে আজ সোমবার ফাইনাল খেলবেন সাবিনারা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কোচিংয়েই বাংলাদেশ দল ফাইনালে উঠেছে। সকলের প্রত্যাশা উড়তে থাকা এ দলটাই এবার নারী সাফের শিরোপা ঘরে তুলবে। খবর ডেইলি-বাংলাদেশ’র
বড় কিছুর প্রত্যাশায় এবারের নারী সাফে অংশ নেয় বাংলাদেশ। আসরের শুরু থেকেই আশ্বাসের সঙ্গে মিল দেখা যায় মাঠের পারফরম্যান্সেও। গ্রুপ পর্বের দাপট অব্যাহত থাকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত।
এদিকে দলকে আরো চাঙা করতে ফাইনালের আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি গত শনিবার নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছান। অনুশীলনে থাকলেও ম্যাচের দিন ডাগ আউটে তার থাকার সম্ভাবনা নেই। কারণ এ টুর্নামেন্টে তার রেজিস্ট্রেশন করেনি বাফুফে। অফিসিয়াল পদ ডিরেক্টর হলেও নারী দল ও একাডেমির ফুটবলাররা তার অধীনে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেন।
স্বাগতিক নেপাল কঠিন প্রতিপক্ষ হলেও ফাইনালে ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। চাপমুক্ত হয়ে খেললে প্রথমবারের মতো সাফের শিরোপা ঘরে আনবে বাংলাদেশের নারীরা। এমন মন্তব্য করেছেন নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো করায়, আগামীতে জাতীয় দল আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করনে বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। এর আগেও সাফের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। তবে এবারের আসরটা বিশেষ হয়ে থাকবে। নারী সাফের ইতিহাসে ভারতকে প্রথম হারের স্বাদ দেয় সাবিনারা। মেয়েদের ফুটবল নিয়ে বরাবরই সিরিয়াস বাফুফে। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে হয়েছে যথাযথ পরিকল্পনা। যার ফলে আজ এই পর্যায়ে এসেছে নারী দল। যার পুরো কৃতিত্ব ফুটবলার-কোচদেরই দিচ্ছে বাফুফে। বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমাদের দল যে আজ ফাইনালে উঠেছে, এটা কারো একার কৃতিত্ব না। এটা দলগত সাফল্য। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর, দলের হেড কোচ, সহকারী কোচসহ আরও যারা কোচিং স্টাফ আছেন সবাই যেভাবে পরিশ্রম করেছে আর আমাদের খেলোয়াড়রা যেভাবে অনুশীলন করে এসেছে তার ফলেই আমরা এমন অবস্থায় আসতে পেরেছি।