চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত শিপ রিসাইক্লিং শিল্পের কর্মহীন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই শিল্পের মালিক কর্তৃপক্ষের সংগঠন বিএসবিআরএ।
নানা কারণে জাহাজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানিকৃত জাহাজের কাটিং পারমিশন প্রাপ্তিতে বিলম্বের কারণে শতাধিক শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শত শত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায়, বিএসবিআরএ এর উদ্যোগে মঙ্গলবার দুই হাজারের অধিক শিপ রিসাইক্লিং শ্রমিকের মধ্যে প্রতি জনকে ৩০ কেজি ওজনের চাল, ডাল, ছোলা, ভোজ্য তেল ও পেঁয়াজসহ এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসবিআরএ-এর প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম রিংকু, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কামাল উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. করিম উদ্দিন, ইসি সদস্য মো. নাঈম শাহ ইমরান, মো. শাহীন আলম, মো. সেকান্দর হোসেন ও হোসাইনুল আরেফিন,
চট্টগ্রাম শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন এবং ইপসা’র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী শাহীন।
বিএসবিআরএ-এর প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, “বর্তমানে এই শিল্পের কর্মীরা কঠিন সময়ে পার করছে, তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিএসবিআরএ সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় বন্ধ থাকা শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোর কর্মহীন শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জাহাজ আমদানি, বিচিং (সৈকতায়ন) এবং জাহাজ বিভাজনের অনুমতি (শিপ কাটিং পারমিশন) প্রাপ্তিতে বিলম্বের কারণে জাহাজ পুনঃ:প্রক্রিয়াজাত শিল্প এখন সংকটাপন। বন্ধ হয়ে আছে শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলো আর এর ফলে কর্মহীন হাজার হাজার শ্রমিক। কাজের অভাবে অনেক প্রশিক্ষিত শ্রমিকও কর্মহীন হয়ে পড়েছে।”
বিএসবিআরএ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, ডলার সংকটসহ আন্তর্জাতিক নানা সমস্যার গত দেড় বছরে জাহাজ আমদানি হ্রাস পেতে শুরু করেছিল। এর সাথে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়েছে বিচিং ও কাটিং পারমিশন প্রাপ্তিতে বিলম্ব ও নানা জটিলতা। আর এর ফলে বেকার হচ্ছে হাজার হাজার শ্রমিক। এ সকল শ্রমিকদের জন্যই আগামী এক মাসের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণের এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএসবিআরএ।”
এ কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের মালিক প্রতিনিধিবৃন্দ, গণমাধ্যম, শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
এ কর্মসূচি ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার কথা জানান বিএসবিআরএ-র নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
