নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে সমুদ্রতীরে জাহাজ নির্মাণশিল্প গড়ার তোড়জোড় বন্ধ করতে তিন সচিব ও আনন্দ শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) পক্ষ থেকে ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম হাসানুল বান্না।
নোটিশে কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের চৌফলদন্ডী মৌজার চিহ্নিত এলাকায় বিদ্যমান সংরক্ষিত বনভূমি, বালুচর ও মহেশখালী চ্যানেলের চর ভরাট জমি যেখানে বনায়ন রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধ ব্যবহারের স্বার্থে জাহাজ নির্মাণশিল্প স্থাপনের জন্য বন্দোবস্ত প্রদানের সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার এবং সংবিধান, আইন ও আদালতের আদেশ মেনে এ বনভূমি ও বালুচর যথাযথ সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ আগামী সাত দিনের মধ্যে নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবীকে অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় উপকূলীয় পরিবেশ, বন, জীববৈচিত্র্য ও বালুচর রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম হাসানুল বান্না বলেন, ‘সংবিধান, আদালতের রায় ও নিষেধাজ্ঞা ও আইনি বিধিনিষেধ অনুযায়ী প্রস্তাবিত দাগের জমিসমূহ কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য বন্দোবস্ত প্রদান করা যাবে না।’
যাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তর, কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক, উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান।