চসিকের শিক্ষা বিভাগের সাথে প্রশাসকের মতবিনিময়
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে করপোরেশনের পুরনো নগরভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত কম্পিউটার ইনস্টিউিটের পরিচালক আনিস আহমেদ তার ইনস্টিটিউটে পাওয়ার জেনারেশন না থাকায় লোডশেডিংয়ে পাঠদান নির্বিঘœ করতে জেনারেটর সরবরাহ করায় প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় প্রশাসক বলেন, এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কোন প্রয়োজন নেই। এটা আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য, আর সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া আমার দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে এতে বক্তব্য রাখেন চসিকের শিক্ষা বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সদস্য প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া। এতে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া ও প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন। করপোরেশন পরিচারিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ শিক্ষার গুণগত মান রক্ষা ও উন্নয়নে তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বেশ কিছু প্রস্তাব প্রশাসকের নিকট উত্থাপন করেন।
এসব প্রস্তাবের মধ্যে ছিল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত সঠিকভাবে নির্ধারণ করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি বিলোপ, শিক্ষকদের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) পুনরায় চালু করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানাগারের ও শিক্ষক স্বল্পতা দূর করা ইত্যাদি।
প্রশাসক এসব প্রস্তাব শুনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা শিক্ষাবিদ হাসিনা আপার কথাগুলো শুনে করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান আরো কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে মনোনিবেশ করুন।
তিনি বলেন, করপোরেশন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। তারপরও তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান নুর আহম্মদ চেয়ারম্যানের একান্ত ইচ্ছায় চট্টগ্রাম শহরের অধিবাসীদের সন্তানদের শিক্ষায় এগিয়ে নিতে অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়। যা পরবর্তী মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে আরো সম্প্রসারিত হয়ে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করে। চট্টগ্রাম নগরীতে শিক্ষার এই অবদান মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনন্য অবদান বলা যায়। শিক্ষক সমাজের প্রতি আমার প্রত্যাশা আপনারা করপোরেশনের এই সাফল্যের ধারা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। বিজ্ঞপ্তি
