সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
‘স্মৃতিতে-স্মরণে আলী যাকের’ প্রতিপাদ্যে কিংবদন্তি অভিনেতা-নির্দেশক আলী যাকেরের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হলো আজ (৬ নভেম্বর)।
এই প্রয়াতের নামে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবর্তন করা হচ্ছে ‘আলী যাকের গ্র্যান্ট’। যার ঘোষণটাও এসেছে আজ। এদিন সবুজ ও শিল্পের মাঝে আলী যাকেরের নিজের তৈরি কাজের জায়গা – ‘বাতিঘর’ সবার জন্য উন্মোচন করা হয়। যেখানে তার গুণমুগ্ধ ও দর্শনার্থীরা স্মৃতি ও শিল্পের আলোকে তাকে খুঁজে পাবেন। এছাড়াও অন্যান্য পর্বের মধ্যে ছিল আলী যাকেরকে নিয়ে ওয়েবসাইটের উদ্বোধন।
রাজধানীর বনানীতে এশিয়াটিক সেন্টারে পুরো আয়োজনটি করে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আলী যাকের।
অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আলী যাকেরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন দেশের পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি– মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. সারোয়ার আলী, দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার এবং অভিনেতা ও চিত্রনির্মাতা তারিক আনাম খান।
আয়োজন শুরু হয় একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে। এরপর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলী যাকেরের দীর্ঘ সময়ের বন্ধু ও সহকর্মী আসাদুজ্জামান নূর। আলী যাকেরের ওয়েবসাইট উন্মোচন নিয়ে বক্তব্য রাখেন ছেলে ইরেশ যাকের।
এরপর ‘আলী যাকের গ্র্যান্ট’ ও ইউপিএল থেকে ইংরেজিতে আলী যাকেরের জীবনী ‘সেই অরুণোদয় থেকে’ প্রকাশের ঘোষণা দেন কিংবদন্তির ৪৫ বছরের সঙ্গী সারা যাকের। বাতিঘরের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আলী যাকেরের মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া। তারপর ‘বাতিঘর’র উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা এসময় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন এবং বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সশরীরে অংশগ্রহণ করেন নিমা রহমান, মোরশেদ আলম, মামুনুর রশিদসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়া এতে জুমের মাধ্যমে অংশ নেন আলী যাকেরের বন্ধু, সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।
এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি জানায়, আলী যাকেরের জীবন ও কাজ নিয়ে শিল্প ও সংস্কৃতিপ্রেমী, বিশেষ করে তরুণদের ধারণা দেবে ‘বাতিঘর’ (৭বি, এইচ ব্লক, বনানী, ঢাকা)। আগ্রহীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আলী যাকেরের ভূমিকা; সাহিত্য, চিত্রকর্ম ও সংগীত নিয়ে তার ভাবনা ও ভালোবাসা; এবং তার ব্যক্তি ও পেশাগত জীবন নিয়ে জানতে বাতিঘর ঘুরে আসতে পারবেন।