নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার হিলভিউ পাবলিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। স্কুল মিলনায়তনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী মেলায় তাদের বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন করেন। মিথেন গ্যাস উৎপাদন, ফায়ার সেফটি, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী প্রকল্প, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন, পানি থেকে গ্যাস উৎপাদন, গ্রিন হাউসসহ নানা ধারণা তুলে ধরার চেষ্টা করে ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা।
স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি লায়ন সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপির ডিসি (পোর্ট) শাকিলা সুলতানা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ কুমার সরকার, বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফেরদৌস জাহান, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্স অফিসার জহিরুল আলম, হিলভিউ আবাসিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনীরুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়সার রিজভী, মোহাম্মদ আবু তাহের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন হিলভিউ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সরকার শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমুখী করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পুরো পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। বিজ্ঞানকে বিকশিত করতে এই স্কুলে অনেক সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও অনেক উৎসাহ রয়েছে। স্কুলে বিজ্ঞানের উন্নয়নে মূল্যবান উপকরণ সরবরাহ করার আশ্বাস দেন তিনি।
বিশেষ অতিথি শাকিলা সুলতানা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা ভাল মানুষ, মানবিক মানুষ হওয়ার চেষ্টা কর। কখনও মা বাবার অবাধ্য হয়ো না। ডিজিটাল প্রযুুক্তি ব্যবহারে তোমাদের সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, নিজের জীবন এবং নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। তোমাদের যদি কেউ বিপদগামী করতে চায় তাহলে সাথে সাথে তা বাবাকে অবহিত করবে।’
সভাপতির বক্তৃতায় লায়ন সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিজ্ঞান ছাড়া সব কিছুই অচল। প্রতিটি উন্নয়ন কাজে রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান। শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানে আগ্রহী করতে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। হিলভিউ পাবলিক স্কুলে শীঘ্রই সততা স্টোর চালু করা হবে। এই সততা স্টোরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সততা ও মানবিকতার চেষ্টা করবে।’
মেলায় সভাপতির নেতৃত্বে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী প্রকল্প পরিদর্শন করেন। তারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকল্প দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন।