শাহ আমানত সেতুর কাছে আবার দুর্ঘটনা

চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বরে একটি ইটবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানে ঢুকে পড়ে প্রাণ কেড়েছে দুইজনের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর নগর প্রান্তের গোল চত্বরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিউমার্কেটমুখী ইটবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিএনজি, মোটরসাইকেল ও পাশে থাকা দোকানে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিচালক ও মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজন চাপা পড়েন। দুর্ঘটনায় আনুমানিক ১২ জন আহত হতে পারে বলে জানায় তারা।
এ ধরনের দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলো চালকদের অসর্তকতা। বেপরোয়া গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা এর মধ্যে অন্যতম। এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগকে ভাবতে হবে। সে সঙ্গে এই সেতুর শহর অংশে ডিজাইন ত্রুটিকেও অনেকে দায়ী করছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম, পার্বত্য বান্দরবান ও কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী ৫০ হাজারেরও বেশি যানবাহন শাহ আমানত সেতু পেরিয়ে নগরে আসা যাওয়া করে। কিন্তু অপরিকল্পিত গোল চত্বরের কারণে বাঁক নিতে গিয়ে অনেক যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে যাচ্ছে ফুটপাতে। চাপা দিচ্ছে পথচারী, দোকানি ও অন্য যানবাহনকে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে হতাহতের ঘটনা।
চত্বরটি রীতিমতো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই চত্বর এলাকা যানজটমুক্ত ও নিরাপদ করতে তা অন্তত ১০ ফুট ছোট করা প্রয়োজন। যানবাহন চালকদের অনেকে বলেন, ‘শাহ আমানত সেতুর শহীদ বশরুজ্জামান চৌধুরী চত্বরটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখানে যানজটমুক্ত ও নিরাপদ করতে চত্বরটি কমপক্ষে ১০ ফুট কেটে ছোট করা জরুরি।’
নগর পরিকল্পনাবিদেরাও মনে করেন রাস্তার প্রশস্ততা অনুযায়ী গোলচত্বরটি অনেক বড় হয়ে গেছে। ট্রাফিক বিভাগ যে প্রস্তাবনা দিতে চাচ্ছে, সেটি যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে। চত্বরটি যদি ছোট করা হয় দুর্ঘটনাও কমবে। একইসঙ্গে যানজটও কমবে