নিজস্ব প্রতিবেদক »
ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ এর স্মরণে বাংলাদেশ সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদের আয়োজনে ৩ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ দিনব্যাপী ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন -২০২৩ এর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
অধিবেশনের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদের শিল্পীরা। এবারের সম্মেলনে পার্শ্বদেশ ভারতসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনের স্বাগত বক্তব্যে পরিষদের সহ-সম্পাদক রাজীব দাশ বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবচর গ্রামের উস্তাদ আয়েত আলী খাঁ স্মরণে আয়োজন করেছি। এবারের অনুষ্ঠানটি ব্যতিক্রম একটি কারণে সেটি হলো আমাদের সম্পাদক ওস্তাদ স্বর্ণময় চক্রবর্তী তিনি পশ্চিমবঙ্গে আছেন। এ বছর প্রথম আমরা তাঁকে ছাড়া এ সম্মেলন আয়োজন করছি।’
সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করে একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন,‘আমি আসলে সদারঙ্গের ঘরেরই মানুষ। চট্টগ্রামে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের একটা স্বর্ণযুগ ছিলো। যেটা হারাতে বসেছিলো। আমরা আবার সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করছি সেটা অনেকটা ফিরিয়ে আনতে। এখানে দেশ বিদেশ থেকে অনেক শিল্পীরা আসে। আমাদের শিশু কিশোরেরাও এর সাথে যুক্ত হচ্ছে। আমি তাদের সাথে যুক্ত হয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার সুযোগ পেয়েছি, যদিও আমি নাটকের মানুষ। তারা আমাকে সুযোগটা দিচ্ছে। তাদের এই শুদ্ধতা সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক।’
প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ‘এই সংগঠনের বিকাশের ধারাটি আমি প্রত্যক্ষভাবে অবলোকন করছি। এক্ষেত্রে পারস্যের কবি শেখ সাদীর একটি কবিতার কথা স্মরণ করছি। যেখানে মানুষের বিবর্তনের ধারাকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে কিছু মানুষ গতানুগতিকতার বিপরীতে হেঁটেছেন। জীবনের রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করেছেন। শিল্পচর্চার এ সংগঠনগুলোও ঠিক একই কাজ করছে। আমি তাই তাদের এই সুন্দর কর্মযজ্ঞের সাফল্য কামনা করছি।’
পরিষদের উপদেষ্টা ও গবেষক অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘সদারঙ্গ অনেক আগে থেকে উচ্চাঙ্গ সংগীত চট্টগ্রামে চর্চা অব্যাহত রেখেছে। একটা বাঁশি পাওয়া গেছে যেটার বয়স দেখা যাচ্ছে ৪০ হাজার বছর। অর্থাৎ শিল্পচর্চা শুরু হওয়ার আগে থেকে শিল্পের অস্তিত্ব বিরাজ করছিলো। শাস্ত্রীয় সংগীত একটা গণিত। যারা এ সংগীত চর্চা করে তারা জেনে না জেনে এ গণিত চর্চা করে।’


















































