সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »
লন্ডনে বসে ঢাকার সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদের বিস্ময়কর হলিউডযাত্রা সম্পর্কে অনেকেই অবগত আছেন। বিস্ময়কর বলার কারণ, বাংলাদেশের কোনও শিল্পীর পক্ষ থেকে এমন নজির আগে ঘটেনি। বিশ্বের সব বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে হলিউডের বেশ ক’টি সিনেমা ও সিরিজে এরমধ্যে অভিনয় করেছেন ‘বালিকা’-খ্যাত এই শিল্পী।
অভিনয়ের সুবাদে যিনি কাজ করেছেন নেটফ্লিক্স প্রযোজিত ব্রিটিশ রাজপরিবারের গল্পেও। এবার আগালেন আরেক ধাপ। উপহার দিলেন আরেকটি বিস্ময়। গোটা বিশ্ব মাতকরা আর্থার কোনান ডয়েলের সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমসের গল্পে ঢুকে পড়লেন প্রীতম! শুধু গল্পই নয়, সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অবস্থান করছেন সেন্ট্রাল লন্ডনের ২২১/বি বেকার স্ট্রিটের বিখ্যাত বাড়িটির সামনে। যেটি শার্লক হোমসের বাড়ি নামেই গোটা বিশ্বের মানুষ জানেন। যা এখন শার্লক হোমস মিউজিয়াম হিসেবে পরিচিত।
আর এই মিউজিয়ামের পাশেই একই আদলের সেটে শুটিং করছেন প্রীতম আহমেদ। এর বাইরে লন্ডনের বিভিন্ন লোকেশনেও শুটিং করবেন সামনের কয়েকদিন। সেখান থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন প্রীতম আহমেদ।
জানান, শার্লক হোমসকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি বিখ্যাত সিরিজের সিক্যুয়েল। শর্ত আরোপের কারণে এই সিরিজের নাম-পরিচয় এখনই মিডিয়াকে বলতে পারছেন না এই অভিনেতা। তবে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে এটুকু বললেন, ‘অবশ্যই এখানে আমার চরিত্রটি শার্লক হোমসের নয়! আমার চরিত্রটি হলো শার্লকের একজন ইনফরমার বা সহচরের। আমার কাজ তাকে নানা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। এরবেশি কিছু বলতে পারবো না এখন।’
অনেকেই জানেন, ১৯১৪ সাল থেকে আর্থার কোনান ডয়েলের গোয়েন্দাভিত্তিক রচনা ‘শার্লক হোমস’ কতোটা জনপ্রিয় পাঠকদের কাছে। এই সুবাদে গোটা বিশ্বে তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য সিনেমা ও সিরিজ। তাই নয়, সেন্ট্রাল লন্ডনের বেকার স্ট্রিটে অবস্থিত ২২১/বি মিউজিয়ামটিও প্রতিদিন উদয়-অস্ত মানুষে ঠাঁসা থাকে।
২০১৬ সাল থেকে প্রীতম আহমেদ ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যে থিতু হন। ঢাকা থেকেই তিনি পরিকল্পনা করছিলেন, শার্লক হোমসের মিউজিয়ামটি একবার ঘুরে আসার। যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পরেও সেই সময়-সুযোগ হয়নি তার। অথচ এবার তিনি অংশ হয়ে গেলেন সেই মিউজিয়ামেরই!
প্রীতম আহমেদ বলেন, ‘নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনে শার্লকের যতগুলো সিরিজ আছে তার সবকটাই দেখা শেষ। ভেবেছিলাম একদিন এই কাল্পনিক গোয়েন্দার মিউজিয়ামটি দেখতে যাবো। কিন্তু হয়ে গেলো উল্টো! চরিত্রের প্রয়োজনে ২২১/বি বেকার স্ট্রিটের সেই বাড়িটিতেই অভিনয়ের অভিজ্ঞতা হলো। শার্লকের দরজায় দাঁড়িয়েই ভাবলাম, জীবন কতো বিচিত্র। কাকে কখন কোথায় কোন চরিত্রে দাঁড় করায়- আগে থেকে কিছুই টের পাওয়া যায় না।’