সুপ্রভাত ডেস্ক »
প্রখ্যাত চিন্তক, বুদ্ধিজীবী ও বামপন্থী রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমরের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সরকারের উপদেষ্টা ও সর্বস্তরের মানুষ।
আজ (সোমবার) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই বুদ্ধিজীবীর মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকায় আজীবন প্রাসঙ্গিক থাকবেন বদরুদ্দীন উমর। সব সময় সত্যের পক্ষে লড়াই করেছেন তিনি। আমাদের নতুন যাত্রায় তার লেখনী নতুন পথরেখা তৈরি করবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, মুজিববাদী সংবিধানের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করেছেন বদরুদ্দীন উমর। তিনি ছিলেন একজন প্রথিতযশা ব্যক্তিত্ব। শেখ হাসিনা ও মুজিবের শাসনামলকে তিনি ফ্যাসিবাদি আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শুধু তাই নয়, জুলাই আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করায় জাতি তাকে আজীবন স্মরণ করবে।
নাহিদ বলেন, মুজিববাদী সংবিধানের প্রবলভাবে বিরোধী ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। বিশেষ করে বাহাত্তরের সংবিধানের বিপক্ষে অবস্থান নেন। আমরাও তার দাবির প্রতি একাত্ম এবং তা বাতিলের আন্দোলন করছি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেনম, বদরুদ্দীন উমর আরও বেঁচে থাকলে, জাতি উপকৃত হতো। আমরা আরও আশাবাদী হতে পারতাম।
নাহিদ তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ ও ফরিদা আখতার।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বদরুদ্দীন উমরের মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। বাদ জোহর জানাজার পর জুরাইন কবরস্থানে মরদেহ মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।
গতকাল শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন বদরুদ্দীন উমর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। সর্বশেষ তিনি জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নামে একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।