সুপ্রভাত ডেস্ক »
পাহাড় কাটা বন্ধ, নদী-নালা-খাল, ভূমি রক্ষাসহ চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আরো তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষা করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে লালদিঘী পাড়স্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৪০তম সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, শহরের সব পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে। খাল-নালা দখল করে স্থাপনা উঠছে। পুকুর-জলাশয় ভরাট করছে একটি দুষ্টচক্র। পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ের মাটি গিয়ে নালা ভরাট হয়ে যাচ্ছে, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নালাগুলোতে পলিথিন এবং কর্কশিটের কারণে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছে। আমরা এ মৌসুমে ৫ লক্ষ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে সিডিএ’র অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, নগরীর বায়েজিদে চন্দ্রনগরে একসময় বিশাল নাগিন পাহাড় ছিল। কাটতে কাটতে এটাকে অস্তিত্বহীন করে ফেলেছে। গতকাল ওখানে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল চাপা পড়ে একজন মারা গেছেন। এই ভবনের অনুমোদন আছে কী না তা দেখতে হবে। পাহাড় কেটে বা নদী-নালা-খাল ভরাট করে কেউ বাড়ি বানাতে চাইলে সে বাড়ির অনুমোদন দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে সিডিএ’কে আরো তৎপর হতে হবে।
মেয়র বলেন, অবৈধ স্থাপনা-জায়গা উচ্ছেদের পর প্রতিটি থানা মনিটরিং করলে উদ্ধার হওয়া জায়গা রক্ষা করা সহজ হতো কারণ চসিকের কোন ফোর্স নেই। যে কারণে উচ্ছেদ করার কিছুদিনের মধ্যেই আবারো ওই স্থান দখল হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ঈদে যেহেতু শত-শত কোটি টাকার লেন-দেন হবে, মানুষ যাতায়াত করবে তাই নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশকে সজাগ থাকতে হবে।
মেয়র বলেন, ব্যাটারি রিকশার ব্যাপারে ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিতে না পারায় শহরে দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে উঠেছে ব্যাটারি রিকশা। এ ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে মেয়র বলেন, আমরা কোরবানির দিন দ্রুততম সময়ে কোরবনির বর্জ্য অপসারণে পদক্ষেপ নিয়েছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোন সুপারভাইজারের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ভাল পারফরম্যান্স দেখালে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে কাউন্সিলরদের কঠোর হতে হবে।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরবৃন্দ, চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।