সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারত তাদের পেঁয়াজ রফতানি নীতিতে রাতারাতি আবার পরিবর্তন এনে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে, যার একটা বড় অংশই বাংলাদেশে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিজিএফটি বা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর গত ৯ অক্টোবর (শুক্রবার) জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পাঁচটি শর্তাধীনে এই পেঁয়াজ বিদেশে পাঠানো হবে। খবর বাংলাটিবিউন’র।
এর মধ্যে প্রধান শর্ত হলো, এই পেঁয়াজ সড়কপথে নয়, সমুদ্রপথে চেন্নাই বন্দর হয়েই পাঠাতে হবে। আর রফতানির প্রক্রিয়া শেষ হতে হবে আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে।
দুই রকম প্রজাতির পেঁয়াজ আপাতত রফতানির অনুমতি পাওয়া গেছে। ব্যাঙ্গালোর রোজ আর কৃষ্ণাপুরম। দুটো প্রজাতিই মোট ১০ হাজার টন করে, অর্থাৎ মোট ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি মিলেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, নতুন এই নির্দেশিকা অনুসারে যে ২০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো উপকৃত হবে। তবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ মূলত সড়কপথেই যায়, বেনাপোল ও হিলি স্থলবন্দর হয়ে। করোনাভাইরাস লকডাউনের সময় অবশ্য নাসিক থেকে সরাসরি ট্রেনেও প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ওয়াগনভর্তি পেঁয়াজ পাঠানো হয়েছিল।
ফলে ভারতের নতুন নির্দেশিকার সুবিধা নিতে হলে বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সমুদ্রপথেই সেটা আনাতে হবে এবং ভারতের রফতানিকারকদের তা পাঠাতে হবে চেন্নাই বন্দর হয়েই।
ব্যাঙ্গালোর রোজ প্রজাতির পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় ভারতের কর্নাটক রাজ্যে। আর কৃষ্ণাপুরম প্রজাতির পেঁয়াজ ফলে অন্ধ্রপ্রদেশে।
রফতানির আগে ওই দুই রাজ্যের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে, পেঁয়াজের পরিমাণও যাচাই করিয়ে নিতে হবে ডিজিএফটি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে।
এই ধরনের নানা শর্তের জটিলতা থাকলেও এই নির্দেশিকা জারির ফলে প্রায় দুই মাস পর ভারত থেকে আবার বিদেশে পেঁয়াজ রফতানি সম্ভব হবে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিজিএফটি আচমকা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
আগাম না জানিয়ে ভারত এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কূটনৈতিক স্তরে ঢাকা এরপর দিল্লির কাছে প্রতিবাদও জানায়। এখন ভারতের এই নতুন সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানোর পথ প্রশস্ত হয় কিনা বা পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে কিনা, সেটাই দেখার বিষয় হবে।