সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
কোভিড আবহে আইপিএলের দ্বিতীয় দিনেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের সাক্ষী থেকে ক্রিকেটবিশ্ব। রবিবার দুবাইয়ে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও দিল্লি ক্যাপিটালসের লড়াই টাই হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। পঞ্জাবকে হারিয়ে জয় দিল আইপিএল ২০২০ শুরু করে দিল্লি। কিন্তু বিতর্ক দেখা দিয়েছে কিংস ইলেভেনের শর্ট রান নিয়ে।
শর্ট রান বিতর্ক দেখা দেয় কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ইনিংসের ১৯তম ওভারের। এই ওভারের কাগিসো রাবাদার তৃতীয় ডেলিভারিতে দু’রান নেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। কিন্তু আম্পায়ার নীতিন মেনন শর্ট রানের সংকেত দেন। আম্পায়ারের দাবি, নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ক্রিস জডর্ন প্রথম ম্যাচ নেওয়ার সময় তার ব্যাট ক্রিজ স্পর্শ করেনি। ফলে পঞ্জাব ও ময়াঙ্কের রানের সঙ্গে দু’রানের পরিবর্তে এক রান যোগ হয়। যদিও সুপার ওভারের ঠিক টিভি রিপ্লে-তে দেখা যায় জর্ডনের ব্যাট ক্রিজের ভেতরে ছিল।
টেকনোলজির সাহায্যে পরিষ্কার ‘ভুল’ দেখা গেলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়নি। এই এক রানের জন্য ম্যাচ হারতে হয়ে পঞ্জাবকে। কারণ শেষ ওভারে পঞ্জাবের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম তিন বলেই ১২ রান তুলে ফেলে ময়াঙ্ক। কিন্তু চতুর্থ ডেলিভারিতে ময়াঙ্ক আউট হয়ে যায়। ফলে শেষ দু’বলে জয়ের জন্য পঞ্জাবের দরকার ছিল মাত্র এক রান। তা করতে পারেননি জর্ডন। ফলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়। কিন্তু এই ‘ভুল’ শর্ট রান না-হলে তিন বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যেত কিংস ইলেভেন।
এই নিয়ে ম্যাচ-রেফারির কাছে আবেদন করে কিংস ইলেভেন টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের সিইও সতীশ মেনন জানান, ‘আমরা ম্যাচ-রেফারির কাছে আবেদন জানিয়েছি। মানুষের ভুল হলে হতে পারে। কিন্তু আইপিএলের মতো বিশ্বমানের টুর্নামেন্টে এই ভুল মেনে নেওয়া যায় না। এই এক রানের আমাদের প্লে-অফ খেলা আটকে যেতে পারে। এই ম্যাচটা হার মানে হার। এটা মেনে নেওয়া কঠিন। আশাকরি, নিয়মের পরিবর্তন হবে। যাতে মানুষের ভুল যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা যায়।’
তবে আইপিএলের নিয়ম ২.১২ (আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত) খেলার শর্ত নিয়ে আইপিএল রুল বইয়ে আপিলের কোনও ফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেখানে বলা হয়েছে, আম্পায়ার যে কোনও সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে, যদি এই ধরনের পরিবর্তন তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়। এ ছাড়াও একজন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত একবার নেওয়া হয়ে গেল তা চূড়ান্ত হিসেবে ধার্য হয়। খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা