হলি ক্রিসেন্ট ও রেলওয়ে করোনা হাসপাতাল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর খুলশী এলাকার হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৫০টি করে মোট ১০০টি শয্যা রয়েছে। কিন্তু এ দুটি হাসপাতালে মঙ্গলবার রোগী ভর্তি ছিল মাত্র ৬ জন। এর মধ্যে হলি ক্রিসেন্টে ৪ জন আর রেলওয়ে হাসপাতালে রয়েছে ২ জন। গত দুই মাস ধরে হাসপাতাল দুটি রোগী শূন্যতায় ভুগছে।
দুটি হাসপাতালে করোনা রোগীর চেয়ে চিকিৎসক, নার্সের সংখ্যা বেশি। রেলওয়ে ও হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল দুটিতে৬ জন করে চিকিৎসক ও ১২ জন করে নার্স রয়েছেন। দুটি হাসপাতালে গত দুই মাস ধরে রোগীর সংখ্যা ১০ এর নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে হাসপাতাল দুটির সমন্বয়কারী আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ সুপ্রভাতকে বলেন, হাসপাতাল দুটিতে দীর্ঘ দিন ধরে করোনা রোগীর খরা চলছে। বিষয়টি আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিত করেছি।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল দুটিতে এখন রোগী না থাকলেও এ মুহূর্তে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে হয় না। কেননা দেশে এখনো করোনার সংক্রমণ কমেনি।এখন হাসপাতাল দুটি বন্ধ করে দিলে যদি হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় তখন দায় কে নেবে ?’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ১৫০ শয্যা ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫০ জনের বেশি করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। বেসরকারি ৫০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালেও ২০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
জানতে চাইলে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, এ হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকে এখানে করোনা রোগী আসছে না। এখন অন্যান্য হাসপাতালে রোগী কমে গেছে। এ অবস্থায় এখানে তো একেবারে কমে যাওয়ারই কথা।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোগীর তুলনায় শয্যা ও চিকিসক, নার্স বেশি থাকলেও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরই সিদ্ধান্ত দেবে।
গত ২১ মে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়। চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পগ্রুপ ও নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের সহায়তায় গত চার বছর ধরে বন্ধ থাকা এই ক্লিনিকটি সংস্কার করে করোনা চিকিৎসার জন্য চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। হাসপাতালটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের ইউনিট হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।
রেলওয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কামরুল ইসলাম সুপ্রভাতকে বলেন, জেনারেল হাসপাতাল থেকে এখানে রোগী রেফার করা হয়। কিন্তু এখানে আইসিইউ না থাকায় রোগীরা জেনারেল হাসপাতালকেই বেছে নেয়। যে কারণে এ হাসপাতালটিতে রোগীর সংখ্যা কম।