নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
জন্মের পর পথ হারিয়ে বাঁশখালীর লোকালয়ে চলে এসেছিল এক হাতি শাবক। তিনদিন ধরে বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের পাহাড়ি জঙ্গল পাইরাং গ্রামে এই শাবককে নিয়ে বনবিভাগ ও প্রাণীসম্পদ বিভাগ শাবকটিকে বনে ফেরানোর এবং মা হাতির কাছে ফেরানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কিছুতেই ফেরাতে পারছিলেন না। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হাতির শাবকটিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বনবিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা আটকে পডা হাতিটিকে উদ্ধার করে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে রেখেছিল। তাছাড়া হাতির শাবকটিকে প্রানীসম্পদ অধিদপ্তরের ডা. সুপন নন্দীর তত্ত্বাবধানে প্রতিনিয়ত শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে হাতির শাবকটিকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় জনগণ ও শিশুদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
জানা যায়, ১৬ অক্টোবর সরল ইউনিয়নের জঙ্গল পাইরাং পাহাড়ি গ্রামে ১৫/২০দিন বয়সী একটি হাতির শাবক আসে। খবর পেয়ে বাঁশখালী জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জের বনরক্ষীরা শাবকটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাহাড়ি এলাকায় নিবিড় পরিচর্যায় রেখে ছিলো। তিনদিন ধরে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে দফায় দফায় চেষ্টা চালায় বনরক্ষীরা। কোন উপায় না দেখে ও মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে না পেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতি শাবকটিকে সাফারি পার্কে নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী জলদী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, হাতি শাবকটি কাদা মাটিতে আটকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তিনদিন ধরে দুধ ও প্রাকৃতিক খাবার দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা। হাতির এ শাবকটিকে প্রাকৃতিক ভাবে যদি মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ভাল হতো। সে প্রক্রিয়ায় সম্ভব না হওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে হাতির শাবকটিকে গাডিতে করে সাফারি পার্কে নেয়া হয়েছে।