‘দমন, নির্যাতন-নিপীড়ন, মামলা-হামলা, গ্রেফতার করে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। এক দলীয় সরকারের অধীনে এই দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হতে হবে। জনগণের অধিকার আদায়ের রাজপথে আছে বিএনপি। জনগণকে সাথে নিয়ে দেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আদায়ের বিএনপি আর পিছ পা হবে না। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ আজ সব কিছুর মূল্য দ্বিগুণ থেকে তিন গুণে বেড়েছে। মানুষ আর দিশেহারা।’
মঙ্গলবার দুপুরে ১২ অক্টোবর বিএনপির বিভাগীয় গণ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাকলিয়ায় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের বাসায় পুলিশি হয়রানি তল্লাশি ও গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা ইয়াকুব খান বাবু, যুবদল নেতা আব্দুল কাদের, মোহাম্মদ সাঈদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে ছুটে যান এবং পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এই সরকার ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে বলে, ঘরে ঘরে চাকরি দিবে বলে ক্ষমতায় এসেছে। অথচ তা না করে দীর্ঘ ১৩ বছরের ধরে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে। আর এখন বলছে আগামী বছর ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হবে। জনগণ এই দুর্ভিক্ষ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্ভিক্ষের কথা বলে জনগণকে আবার ধোকা দিতে চায়। দুর্ভিক্ষের আগে এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যারা দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেই সমস্ত লুটপাটকারীদের জনগণ ক্ষমা করবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন চৌধুরীর লিটন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, নগর বিএনপির সাবেক নেতা ইয়াসিন চৌধুরীর আসু, বাকলিয়ার থানা বিএনপির সিনিয়র সিনিয়র সহ-সভাপতি এম, আই চৌধুরী মামুন, নগর বিএনপির সাবেক সহ সম্পাদক ইউনুস চৌধুরী হাকিম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম বিএনপি নেতা টি এম ফরিদ, রৌশনঙ্গীর আমিন, মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মো. সাইফুল, হাজী ইউনুস, নাজমুল হক নাজু, আসাদুর রহমান টিপু, মো. জসিম, মো. মুছা, নসুরুল্লাহ নসু, আজাদ খান, মাইনুদ্দিন পারভেজ, রেজিয়া বেগম মুন্নি, কামরুন নাহার, রেনুকা বেগম, আবু বক্কর, মো. স্বপন, সালাউদ্দীন বাসু, দুলাল, শামীম, মান্নান, অপু, কালু, হীরা, জসিম, ফারুক, জাকির, বারেক, ইউনুছ, মানিক, জাকির, মো. ওয়াসিম, সোহাগ, মোহাম্মদ জসিম বাবুল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
পরে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন চাঁদগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গ্রেফতারকৃত গুলজার হোসেনের বাসায় যান। সেখানে তিনি তার পরিবারের সাথে কথা বলেন। আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে শীঘ্রই নেতাকর্মীদের মুক্ত করার কাজ অব্যাহত আছে। অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ মুক্তি পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী, সদস্য আনোয়ার হেসেন লিপ্,ু গাজী সিরাজ বিএনপি নেতা মোহাম্মদ বকতেয়ার, আবদুল আজিজ, গিয়াস উদ্দীন, হাজী ইলিয়াছ সেকু, হাজী নিজামুল ইসলাম, হাজী আয়ুব আলী, হাজী আবুল বশর, এস এম মোশাররফ উদ্দিন, শওকত ওসমান, সালামত আলী, মনছুর আলম, হাজী সিরাজুল ইসলাম, হাজী কামাল উদ্দিন, আকতার হোসেন, জসিম উদ্দীন, সাইদুল ইসলাম, নূরুল আমিন, ইউসুপ আলী লিটন, শহীদ, আবদর রশিদ, সারোয়ার, শাহ আলম, সগীর আহমদ সামশু আলম, বাপ্পী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি