মুফতি আবদুল মান্নান
সেই সকাল থেকে রোদের আশায় একটানা বসে আছি বাইর বাড়িতে যে একটা আমগাছ তার তলায় মোড়া পেতে। একটু উঁকি দিয়ে দিয়ে আবার কোথায় যেন শরমে মুখ লুকায় সূর্যটা। কুয়াশার মুখ দেখে শরম পায়, না নববধূর লম্বা ঘোমটা তার অন্তরায়, বুঝে উঠতে পারিনি। এবার যে লুকালো আর উঠল না। কোথায় যেন সূর্যটা আটকা পড়ে কাঁদছে।
পৌষ মাসের মাঝামাঝি। শীতের প্রকট উৎপাত বেড়েই চলেছে। আবর্জনার স্তূপ একত্রে এনে ছেলেমেয়েরা আগুন ধরিয়েছে। যে যতটুকু পারলো হাত-পা গরম করল। দু-একটা ছেলে আগুনের তাপ কমে গেলে নাড়া চুরি করে এনে আগুন বড় করে। এই ছেলেমেয়েদের একটা বড় সরদার ছিল। ওই সব সময় এর ঘরের খড়কুটা, না হয় ওর ঘরের, কেবল এটা-সেটা ক্ষতি করার মধ্যেই আছে। অবশ্য আমি তাকে বুড়ো শয়তান বলে ডাকি। ওর কা-কারখানা মানুষকে না হাসিয়ে পারে না। তার নাম নিয়েও অনেক হাসাহাসি হয়ে থাকে গ্রামশুদ্ধ। সমবয়স্করা তাকে পুঁচকে বলে ডাকে। আবার লেঞ্জা, নয়তো ফুটকা। তবে পুঁচকে নামেই সে বেশি প্রসিদ্ধ। অবশ্য তার প্রকৃত নাম একটা আছে। আর সেটা হল আবু বাক্কার। এই পুঁচকে বড় হলে কি হবে, সারাটাদিন সে গ্রামশুদ্ধ এটা-সেটা নিয়ে ঘুরবে। আর ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খেলবে। সেদিন অবশ্য বিরাট আশ্চর্য হয়েছিলাম আমি। কি একটা প্রয়োজনে পুঁচকেদের বাড়িতে যাই। গিয়ে প্রথমে যা দেখলাম তাতে আমার মাথাখারাপ হয়ে গেল। আর হাসিও কিন্তু কম হয়নি। এক সময় না হেসে আর পারলাম না। একটা কুকুরের বাচ্চা তার কাঁধে আর একটা কোলে আর একটা তার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে। এ যেন জুকার, সার্কাসের লোক, বাঁদরওয়ালা। তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটা বাচ্চা একটু দুর্বল। আমার আগমনে ওরা সবাই আমাকে ঘিরে ধরল। ভয় নেই বলে পুঁচকে ঘর থেকে বসার জন্য জলচৌকি আনলো। প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেও পরে আর ভয় পাইনি। তিনটি বাচ্চাই আমার পায়ে এসে জড়িয়ে ধরল। আর কিচিরমিচির জুড়ে দিল। আমার ভালো লেগেছিল ওই দুর্বল বাচ্চাটাকে। তাকে হাতে টেনে কাছে নিয়ে এলাম। হাত দিয়ে ওর শরীর-মাথায় আদর করতে লাগলাম। ও মমতায় লেজ নাড়াতে লাগলো। বাকি দুইটা বাচ্চা খেলতে খেলতে বাড়ির বাইরে চলে গেছে। আর এ বাচ্চাটা আদর পেয়ে একেবারে আমার কোলে। পুঁচকে এ অবস্থা দেখে বলল, সে কি! তুমি তো দেখি তার মালিক হয়ে গেছ। আমি বললাম, ওরা আদরলোভী। একটু আদর পেয়েছে তাই আমার কাছে শুয়ে রয়েছে। আমাকে দিয়ে দাও না বাচ্চাটা। সে বলল, তা হবে না। তাদের নিয়েই তো আমি আছি। সারাটাদিন তো তাদের নিয়েই কাটে। আমি বললাম, ঠিক আছে, তার আর প্রয়োজন নেই। আমি এসব পালি-টালি না। এ ধরনের শখ আমার নেই। তবে এই বাচ্চাটাকে দেখে আমার মায়া হয়েছিল, এই আর কি। আমি আরেকবার ওর মাথায় আর শরীরে হাত বুলালাম। সে সোহাগে আরো কোমল হলো আর লেজ নাড়াতে লাগলো। মায়াময় স্নিগ্ধ দৃষ্টতে বারকয়েক আমার দিকে চাইল। যেন প্রশান্তির একটা বিরাট ছায়া পেয়েছে। আমাকে চলে আসতে দেখে সে আর আমার পা ছাড়ে না। এই যে জড়িয়ে ধরল, অনেক কষ্ট করে তাকে রেখে চলে এলাম। বাচ্চাটা তখন ঘেউ ঘেউ করতে থাকলো আমার পথের দিকে চেয়ে। একটু পর কান্নার গোঙানির শব্দ শুনতে পেলাম। আমি ভাবলাম, এই সামান্য বাচ্চাটাও সামান্য সোহাগ আর আদরের পাগল! একটু আদর পেল আর অমনি আপন ভাবতে লাগলো। একটি পশুর ছানার হৃদয়ে এত ভালোবাসার টান! তারা এত মমতার ডোরে বাঁধা হতে পারে কখনো আমি জানতাম না। পশুদেরও হৃদয় আছে এই প্রথম আমি জানলাম। ওর চিৎকারে আমার চোখে জল এসে গেল। পশু আর মানুষের মাঝে এত ভালোবাসা থাকে!
বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। কাজের ব্যস্ততা আর লেখাপড়ার মাঝে কাটতে থাকলো সময়। ফুলের মাধ্যমে বসন্তের পূর্বাভাস জানা গেল। কোকিলের ডাক তখন ছড়ায়নি প্রবলভাবে। আম্র মুকুলের ঘ্রাণ তখন প্রবল। পড়ন্ত বিকেলে দুই একজন বন্ধু নিয়ে বসে আছি খেলার জন্য। পুঁচকেকে এদিকে আসতে দেখে মনে পড়লো কুকুরছানার কথা। ভুলেই গিয়েছিলাম। ব্যস্ত এ মানুষের সমাজে কে পশুকে মনে রাখে? এ স্মৃতিত ঝরাপাতার মত, কেউ মনে রাখে না। আমিও না। জিজ্ঞেস করলাম, কি হে পুঁচকে, তোমার বাচ্চাদের কোথায় রেখে আসলে। সে সেই চিরপরিচিত হাসি দিয়ে বলল, বাড়িতেই রেখে আসলাম। খেলা করছে। ছোট বাচ্চাটার কথা জিজ্ঞেস করলে পুঁচকে বলল, বেশ তো সিয়ান হইছে। এখন শিকারে শক্ত। অনেক কিছু শিখিয়ে ফেলেছি এতদিনে। অবশ্য বড় কুকুরের সাথে পারে না। পুঁচকের কথা শুনে কুকুরটাকে দেখতে ইচ্ছে হলো। সেই লোভনীয় চাহনি ও আদর মনে পড়ে গেল। আগামীকাল যাব বলে ঠিক করে খেলা শুরু করে দিলাম।
আজ স্কুল বন্ধ। সাপ্তাহিক ছুটি। বেশ সময় হাতে আছে ভেবে পুঁচকেদের বাড়িরর দিকটায় গেলাম। বাইর বাড়ি থেকে পুঁচকেকে ডাক দিলাম। দু’বার ডাক দেয়ার পর যে কা-টা ঘটলো তা দেখে আমি তাজ্জব বনে গেলাম। এও কি সম্ভব? সেই কুকুরছানাটা দৌড়ে এসে একেবারে আমার গা ঘেঁষে কিচিরমিচির আরম্ভ করে দিল। প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু ওর কিচিরমিচিরে আমার ভয়টা ভেঙে গেল। বাচ্চাটা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করছে আর লেজ নাড়াচ্ছে। আমি ভাবতে থাকলাম, সেই কবেকার ছোট্ট কুকুরছানা যাকে একটু আদর দিয়েছিলাম আর আজও তা মনে রেখে বসে আছে! আর আমাকে চিনতে একটুও ভুল করল না! মনটা আনন্দে ভরে গেল। কৃতজ্ঞতায় মাথা নুয়াচ্ছে। আর কতটা আপন ভেবে লেজ নাড়াচ্ছে। মানুষ কি এ রকম হয়! কত শিশুকেই না এভাবে আদর করেছি, কোলে নিয়ে চুমু খেয়েছি, খাইয়েছি! কিন্তু কই, তারা তো কেউ আমাকে মনে রাখেনি? বরং নতুন করে পরিচয় হতে হয়েছে। কুকুরটাকে সোহাগে আর আনন্দে মাথায় হাত বুলাতে লাগলাম। আর বলতে লাগলাম, এ এক অবিশ্বাস্য ভালোবাসা।
প্রায় দুবছর হলো গাজীপুরে ছিলাম। আপু বলল তুই বাড়ি চলে যা। আমিও অমত করলাম না। বাড়ির জন্য আমার মন বেশ ছটফট করছিল। তাই আর দেরি করলাম না। সন্ধ্যায় বাড়িতে এলাম। হাতমুখ ধুয়ে খাওয়াদাওয়া সেরে আমার রুমে এলাম। ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিয়ে ভাবছি। হঠাৎ একটা কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে পুরোনো স্মৃতিটা ভেসে এলো। আর মুহূর্তেই মনটা পাগল হয়ে গেল সেই প্রিয় কুকুরটার জন্য। বড় অস্থির লাগছিল তখন। যদি এখনই দেখতে পারতাম ওকে। গাজীপুরে থাকার সময় অনেকবার এই কুকুরটার অদ্ভুত ভালোবাসার কথা মনে পড়েছে। আর মনটা কেঁদেছে। কিন্তু ওটাকে দেখতে পেলাম না দুটি বছর। আর আজ এত কাছে থেকেও সময়ের ব্যবধানে না দেখতে পারায় মনটা ভারাক্রান্ত হল। কিছুটা বিষণœ আর অস্বস্তিতে রাতটা কাটালাম। সকালে নাশতার পর্বটা শেষ করে কুকুরটাকে দেখতে যাবো বলে রওয়ানা হতেই পঁচকেকে দেখতে পেয়ে বললাম, কি খবর পুঁচকে, ভালো তো আছ? সে বলল হ্যাঁ, মামা ভালোই আছি। কিন্তু এতদিন কোথায় ছিলে? আমি বললাম, গাজীপুরে। ও আচ্ছা তাই তো তোমাকে দেখতে পাইনি। পুঁচকেকে বললাম, তোমার কুকুরগুলোর খবর কি? আচ্ছা, বল কোনটার কথা বলছ? লালুর কথা তো। সে এখন বেশ বড় আর তাজা হয়েছে। এখন ওর রাজত্বই চলে আমাদের পাড়ায়। আমি বললাম, তোমার ছোট কুকুরটার কথা। সে বলল, আরে তার নামই তো লালু রেখেছি। ও নামে ডাক দিলে সে পাগলের মত ছুটে আসে। আমি বললাম, লালু এখন কোথায়? সে বলল, হয়তো কোথাও আছে। এখন রাত ছাড়া বাড়িতে বেশিক্ষণ থাকে না। মাঝে মাঝে দিনে বাড়িতে আসে। সময় হলে খেয়ে যায়। এই আর কি। পুঁচকে বাড়ির দিকে চলে গেল।
মনটা কিছুটা দুঃখ আর আনন্দে ভরে গেল। তাহলে লালু এখন বেশ ডাঙর হয়েছে। এখন কি ও আমাকে চিনবে। এত বছর পর সে কি আমার মুখ মনে রেখেছে। আর আমিই কি তাকে দেখে অনুমান করতে পারবো। সে তো এখন খুব ব্যস্ত। সারাপাড়ায় ঘুরে বেড়ায় আর তার দাপট দেখায়। এখন সে নতুন নতুন মুখ দেখে আর নতুন পথে বিচরণ করে। কখন কার কোন পরিচিত, সেসব মনে চেপে সে কি আর বসে আছে? আমি বোকা তাই হয়তো তার ভালো দিকগুলো সযতনে মনে গেঁথে রেখেছি।
আমি যেখানে স্নান করি সেটা এক জমিদার বাড়ির পুকুর। নাম সাগরদিঘি। সেই ছোটবেলা থেকেই সেখানে স্নান করে আসছি। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গোসলে যাচ্ছি। পথ চলতে চলতে হঠাৎ একটা কুকুরকে একটি গাছ তলায় শুয়ে থাকতে দেখে মনটা যেন কেমন করে উঠলো। কিছুক্ষণ তাকানোর পরে আবার ঘাটের দিকে চলতে থাকি। গোসল সেরে যখন আসি তখন একটু কৌতূহলে এগিয়ে যাই। কিছুটা দূরে থাকতেই কুকুরটা মুখ তুলে তাকালো। কিছুক্ষণ এভাবে থাকার পর এক লাফে চলে এল আমার কাছে। তারপর চারদিকে ঘুরতে থাকে। আমি বিস্মিত হয়ে তাকে দেখতে থাকলাম। সে কিচিরমিচির করে লেজ নাড়াতে থাকে। আর মুখের দিকে বারবার তাকাতে লাগল। আমার চিনতে আর বাকি রইলা না যে এটাই লালু। যেন আগের স্বভাবটা রয়ে গেছে এখনও। সেই একগুঁয়ে আর নাছোড়বান্দা। অনেকদিন পর তার ফিরে পাওয়া আদর আর মমতা দেখে চোখে পানি চলে এলো। আমি লালুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলাম। ও আরো বেশি লেজ নাড়াতে লাগলো। ওর চোখেও যেন কি এক বাসনা। ওর চোখ যেন বলছে, অনেক দিনের পর হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা ফিরে পেলাম। বারবার চোখ তুলে তাকাচ্ছে। মনে কত অভিযোগ। এতদিন কোথায় ছিলাম?
লালু এখন অনেক বড় হয়েছে। শরীরটা তাজা আর শক্তিও প্রবল। মনটা আনন্দে নেচে উঠলো। বললাম, কিরে লালু, এতদিন তুই কোথায় ছিলি? সে হঠাৎ আমার মুখের দিকে চেয়ে সব নাড়াচাড়া বন্ধ করে দিল। আমি বললাম, কিরে কি হলো তোর? ও আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারল না। আমার পায়ের কাছে শুয়ে পড়লো। বুঝলাম এ তার ভালোবাসার প্রকাশ। ওর চোখ বলছে আমি কিভাবে তার নাম জানলাম। বিস্মিত আর আনন্দে সে ওঠে নাচানাচি শুরু করে দিল। আমি বললাম, চল লালু, আমাদের বাড়ি। এখন থেকে তুই আমাদের বাড়িতে থাকবি। আর কোথাও তোকে যেতে হবে না। লালু আগে আগে আর আমি পিছে-পিছে চলতে থাকি। বাড়ি এসে লালুকে পেটভরে খেতে দিয়ে বললাম, কোথাও যাবি না ওখানটায় শুয়ে থাক। আমি একটু ঘুমাবো। আমি ঘুমাতে চলে গেলাম। সে খেতে থাকলো। আর কোনদিন আমি লালুকে খাওয়াইনি। এই প্রথম তাকে খাওয়াই। সে আনন্দে খেতে-খেতে দু-একবার চাইল আমার দিকে। আমি তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলাম।
পরদিন সকালে লালুকে দেখতে না পেয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে গেলাম। খুঁজতে বেরিয়ে পড়লাম। বেচারাটা কোথায় গেল। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর শূন্য মনে বাড়ি ফিরে এলাম। বেশ কয়েকদিন ওকে আসতে না দেখে আমি মনমরা হয়ে গেলাম। কী ব্যাপার, লালুর কি হয়েছে? ও আসছে না কেন? আর কোথায়বা গেছে? পুঁচকেদের বাড়িতে কি কারণে যেন যাওয়া হলো না। প্রায় সাতদিন হয়ে গেল। বারান্দায় বসে বসে একটা বই আনমনে ওল্টাচ্ছি। বাড়ির বাইরে পুঁচকের কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম। সে বলছে, শালার ভাইরা, আমার লালুটাকে মেরে ফেলেছে। যদি জানতে পারতাম কে মেরেছে তবে একটা কেউ ছাড়তাম না, শালা। লালু কি তাদের মাথা খেয়েছিল। আমি আর স্থির থাকতে পারলাম না। দৌড়ে গিয়ে পুঁচকেকে বললাম, কি হয়েছে লালুর! পুঁচকের চোখে পানি। সে বলল, লালুকে মেরে ফেলেছে। বললাম, সে এখন কোথায়। পুঁচকে বলল, সে ভাগাড়ে পড়ে আছে। আমার মনটা আর স্থির রাখতে পারলাম না। দৌড়ে গেলাম ভাগাড়ের দিকে। গিয়ে দেখি, লালুর দেহটা অসাড়। ওর মাথাটা কারা যেন থুবড়ে দিয়েছে। দেহটা পচে মাংসপি-। এলোমেলো হয়ে আছে। অকস্মাৎ আমার চোখ থেকে পানি ঝরতে থাকলো। ভালোবাসার পরিণতি এ রকম হবে? ওর শরীর পচে গেলে কি হবে? কিন্তু ওর চোখ দুটি যেন জ্বলজ্বল করছে। ওর চোখ বলছে, বন্ধু আমি তোমায় কোন কিছুই দিতে পারিনি শুধু ভালোবাসা ছাড়া। তবে ওরা আমাকে বাঁচতে দিল না। মানুষ এমন নির্মম হয়ে থাকে? আমি বললাম, লালু, তোমার যে ভালোবাসা আর মমতা পেয়েছি তা ফুরাবার নয়। তোমার অকৃত্রিম সোহাগ এ নরাধমরা না বুঝলেও আমি ঠিকই বুঝতে পেরেছি। লালু, পশু আর মানুষের এই মহামিলন যেমনটা সুখ এনে দিয়েছিল, আবার মানুষ আর পশুর মাঝে এই মানুষই এ রকম দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। ভয় নেই লালু। তোমার আর কোন ক্ষতি করতে পারবে না ওরা। তুমি এখন নিশ্চিন্ত। তুমি ঘুমাও। তোমার ভালোবাসার ঘেউ ঘেউ আমার অন্তর জুড়ে আছে।