লবণবাহী যান থেকে পতিত পানিতে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, পেকুয়ার প্রধান সড়ক ও মগনামা-রাজাখালী এবং উজানটিয়ার গ্রামীণ সড়কগুলো। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ সড়কগুলো। এমনকি কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে ছোট-বড় গর্ত। এ ছাড়া লবণপানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা থাকলেও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই।
লবণচাষিরা জানিয়েছেন, পেকুয়ার বানৌজা সড়ক দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০টি ট্রাক বোঝাই করে শত শত টন লবণ পটিয়া, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। সড়কের ওপর বড় বড় ট্রাক দাঁড় করে মাঠে উৎপাদিত ভেজা লবণ বোঝাই করা হচ্ছে। আবার মাঠে উৎপাদিত লবণ চলাচলরত রাস্তায় স্তূপ করে রাখছে বিক্রি করার জন্য। এসব লবণ পরিবহনের সময় পলিথিন মোড়ানোর নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
সড়কের ওপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে লবণ বোঝাইয়ের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, এখানে লবণ মজুত করার কোনো গুদাম নেই। ফলে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে মাঠ থেকে লবণ বোঝাই করা হয়।
অন্যদিকে লবণবোঝাইকৃত ট্রাক ও কার্গো ট্রাক থেকে পানি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।বিভিন্ন সময়ে পুলিশ লবণবোঝাই ট্রাক জব্দ করলেও পরে ছেড়ে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে নীতিমালা করা দরকার। পলিথিন মুড়িয়ে ট্রাকে ও কার্গো ট্রাকে লবণ পরিবহনের নিয়ম থাকলেও অনেকে তা অমান্য করছেন।
এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব কেন তার কোনো উত্তর নেই। আর লবণশিল্প দেশের অর্থনীতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও লবণ সংরক্ষণ ও বিক্রির জন্য মজুদ করার আধুনিক ব্যবস্থা না থাকা দুঃখজনক। এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপ জরুরি।
এ মুহূর্তের সংবাদ