লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টমস

সুপ্রভাত ডেস্ক  »

রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি দেশের সবচেয়ে বড় শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। চলতি ২০২৪—২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ হাজার ৫২৪ কোটি ৮৬ হাজার টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫ হাজার ৯০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাঁচ হাজার ৬২১ কোটি টাকা বা ১৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। এ কারণে আগস্টের পর থেকে আমদানি—রফতানির গতি কমে হয়ে যায়। এ কারণে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে রাজস্ব আদায় হয়নি। কিন্তু কাস্টমসের তৎপরতা বাড়ানোর কারণে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নিতে পারেনি সুযোগসন্ধানীরা। এ ছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানিও কমেছে। খবর সারাবাংলা।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪—২৫ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৩ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রথম ছয় মাসে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস আজস্ব আদায় করেছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার কিছু কম। এর মধ্যে জুলাইয়ে পাঁচ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ছয় হাজার ৩১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। আগস্টে ছয় হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

সেপ্টেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ছয় হাজার ছয় কোটি ৫০ লাখ টাকা। পরের মাস অক্টোবরে সাত হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ছয় হাজার ৬১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। নভেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা, এর বিপরীতে আদায় হয়েছে পাঁচ হাজার ২৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ ডিসেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাত হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ছয় হাজার ৫৩৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা আদায় হয়েছে।

তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে কেবল জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি। আগস্টে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি ছিল রাজস্ব আয়। এ ছাড়া বাকি চার মাসের কোনোটিতেই চট্টগ্রাম কাস্টমস লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, গত আগস্ট থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ব্যাংকে তারল্য সংকটে আমদানি কমলেও, ডলার বাজার ও কাস্টমসের নানা পদক্ষেপে রাজস্ব আয় বেড়েছে।

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘গত অর্থবছরে ডিসেম্বর মাসে আমাদের আদায় ছিল পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে আমরা এ বছর আদায় করতে পেরেছি ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু ডিসেম্বর মাসে আমাদের গ্রোথ ২৮ শতাংশের বেশি আছে। আশা করি এভাবে চলতে থাকলে আমরা লক্ষ্যমাত্রার (টার্গেট) কাছাকাছি যেতে পারব।’