নগরীর ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডে লকডাউনের চতুর্থ দিনে আজ ২০ জুন (শনিবার) সকালে সরেজমিন এলাকা পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি সকলকে লকডাউন চলকালীন সময়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনযাপনে স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মেয়র বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু রেখে শ্রমিকদের বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। এতে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকার বিষয়টিও আমরা ভাবছি।
সিটি মেয়র শিল্প মালিকদের লকডাউনের সময় শিল্প বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড এলাকার ছয় হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনই দুই হাজার পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু গত দুই দিনে প্রায় সাড়ে চারশ পরিবারকে এই সহায়তা বিতরণ করেন। গত ১৮ জুন আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে দুই জন চিকিৎসককে পাঠানো হয়েছে লকডাউন এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য। আগামীকাল রোববার থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এক ওয়ার্ডের ২০ জন করে তিন ওয়ার্ডের মোট ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের কনটাক্ট ট্রেসিং করা, নমুনা সংগ্রহকারীদেরকে সহায়তা করা, লকডাউন শতভাগ বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ নানামুখী কাজ করবে এই স্বেচ্ছাসেবক দল। তবে সংগৃহীত নমুনার যাতে নিয়মিত পরীক্ষা কার্যক্রম গতিশীল হয় সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। দিনের পরীক্ষার ফলাফল দিনে প্রকাশে সংশ্লিষ্টদেরকে সক্রিয় হতে হবে। এই লকডাউন এলাকার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। তারা লকডাউন চলাকালীন সময়ে এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী কাঁচাবাজার, ঔষুধপত্র ও প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন উপকরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। এ ছাড়াও কোন বাসায় অসুস্থ রোগী থাকলে তাদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য খোঁজখবর নিচ্ছেন। গুরুতর রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জোন ভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত এ ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ১৪৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৭ জনের। লকডাউন কার্যকর হওয়ার অদ্যাবধি নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি এবং মৃত্যুবরণও করেনি।
এ সময় কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু,সংরক্ষিত কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সহকারী রায়হান ইউসুফ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইকবাল চৌধুরী, পাহাড়তলী থানার এসি আরিফুল ইসলাম সহ এলাকায় দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
Uncategorized