ডেকোরেটার্স মালিক-শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম নগরীর ডেকোরেটার্স মালিক-শ্রমিক সংগঠনের অস্বচ্ছল ৩’শ সদস্যের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল ১১টায় এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি।
প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টি সাবান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, বিভাগীয় কমিশনারের পি.এস ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর জাহান আক্তার সাথী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, জেলা নাজির মো. জামাল উদ্দিন প্রমুখ। স্বেচ্ছাসেবক টিম সার্ক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন। ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এনডিসি বলেন, কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া কোন অসহায় মানুষ খাদ্য সংকটে থাকবেনা। এ বিষয় দেখাশোনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সরকারের নির্দেশনায় সমাজের দুস্থ, হতদরিদ্র ও অস্বচ্ছল মানুষের হাতে সরকার প্রদত্ত উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এ সময়ে কর্মহীন কোন মানুষ যাতে সরকারি সহযোগিতা থেকে বাদ না যায় তা কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় সচেতনতা, শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সকলের নিকট আহ্বান জানান তিনি।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে বা সাহায্য চেয়ে সরকারি ৩৩৩ নম্বরে ফোন ও আমাদের কাছে এসএমএস করছেন প্রত্যেক রাতে তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যেসব শ্রমজীবী মানুষ একেবারে কর্মহারা হয়ে পড়েছে বা কষ্টে আছে তাদের প্রত্যেককে ত্রাণের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন। কঠোর লকডাউনে যারা অতি কষ্টে দিনযাপন করছেন তাদের প্রত্যেককে সরকারি ত্রাণের আওতায় আনা হবে। লকডাউনে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনার্ঢ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি