নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও টেকনাফ »
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি দেখতে কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছেন মিয়ানমারের ২২ জনের একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে স্পিডবোটে নাফ নদী পার হয়ে টেকনাফের জালিয়াপাড়ার ট্রানজিট ঘাটে পৌঁছায় প্রতিনিধিদলটি। সেখানে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামচ্ছুদ্দোজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরপর প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সকলে যান টেকনাফের কেরুনতলীস্থ প্রত্যাবাসন ঘাটে। ওখানে দ্বিপক্ষীয় একটি বৈঠক শুরু হয়। বাংলাদেশের পাঠানো তালিকা থেকে মিয়ানমার যেসব রোহিঙ্গাকে তাদের নাগরিক হিসেবে যাচাই-বাছাই করে ফিরতি তালিকা দিয়েছিল, তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এ বৈঠক হয়।
সূত্র জানায়, মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটির বাংলাদেশে এক সপ্তাহ অবস্থানের কথা রয়েছে। প্রতিদিন ওই রিসোর্টে নির্ধারিত সময়ে ৭০ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেবেন টেকনিক্যাল টিমের সদস্যরা। এ ছাড়া সেখানে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হবে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে মিয়ানমার ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা রাখাইন রাজ্যের মংডু থেকে টেকনাফে এসেছেন। টেকনাফে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও মতবিনিময় করবে। প্রতিনিধিদলটি মিয়ানমারে ফিরতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করবে।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রথম পর্যায়ে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় ১ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের শ’খানেক রোহিঙ্গা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি মিয়ানমারের কাছে ৮ লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। এই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল মিয়ানমার।