সনেট দেব »
রাহুল এক চঞ্চল আর কল্পনাপ্রিয় ছেলে। সে সারাদিন ভাবত,
“ইশ! যদি আমি একদিনের জন্য রোবট হতে পারতাম!”
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে রাহুল দেখে, তার হাত-পা চকচকে লোহায় তৈরি, চোখে লাল আলো ঝলকাচ্ছে আর মুখ দিয়ে বেজে উঠছে “বিপ! বিপ!” শব্দ।
আয়নায় দেখে সে রোবট হয়ে গেছে!
প্রথমে খুব মজা লাগল। ঘর ঝাড়ু দিতে ৫ সেকেন্ড লাগল, বই পড়ে ২ মিনিটে সব মুখস্থ! টিফিন বানিয়ে ফেলল নিজেই, তাও একটাও পেঁয়াজ না কেটে!
স্কুলে গিয়ে বন্ধুরা তো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে
“রাহুল কি… রোবট?!”
রাহুল হেসে বলল, “হ্যাঁ! এখন আমি রোবট রাহুল ৩০০০। যেকোনো প্রশ্নের উত্তর এক সেকেন্ডে!”
সবাই মজা পেল, খেলা শুরু হল — কে বেশি অঙ্ক করতে পারে, কে বেশি দ্রুত দৌড়াতে পারে।
রোবট রাহুল সবার থেকে এগিয়ে ছিল।
কিন্তু দুপুরের পর রাহুল টের পেল একটা সমস্যা…
বন্ধুরা তাকে আর জড়িয়ে ধরে না, কেউ তার সঙ্গে বসে গল্প করে না, কারণ ও এখন মেশিন।
সে একা হয়ে গেল।
রাহুল মন খারাপ করে বলল,
“আমি তো রোবট হয়ে সব পারছি, কিন্তু হেসে খেলে মানুষের মতো অনুভব করতে পারছি না!”
সন্ধ্যায় সে ঘুমিয়ে পড়ল।
একসময় চোখ খুলে দেখে —
সে আবার আগের রাহুল!
সে খুশিতে লাফিয়ে উঠল, মা-কে জড়িয়ে ধরল, আর ভাবল,
“রোবট হওয়া মজার, কিন্তু মানুষ হওয়াই সবচেয়ে সুন্দর।”
শিক্ষা: প্রযুক্তি যতই শক্তিশালী হোক, মানুষের অনুভূতি, ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের কোনো বিকল্প নেই।