নিজস্ব প্রতিবেদক »
ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুরু হয়েছে রেলে যাত্রা। গতকাল প্রথম দিনে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনে মোট ৭ হাজার ৪১১ জন যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন সময়ে যাত্রা করেছেন। তবে এখনও কর্মস্থলে ছুটি না হওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো ভিড় হয়নি বলে জানান রেল কর্মকর্তারা। অন্যদিকে বাসে বাড়ি ফেরার পালা এখনো শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন বাস সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল শনিবার দুপুর তিনটায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, অনলাইনে টিকেট কেটে যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে তাদের গন্তব্যে যেতে ট্রেনে অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ ট্রেন আসার আগে থেকে স্টেশনের ছাউনিতে বসে সময় কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ যাত্রী স্টেশনে এগিয়ে দিতে এসেছেন তাদের স্বামী, পুত্র ও কন্যারা। কর্মস্থলের বন্ধ না হওয়ায় তারা চাইলেও যেতে পারছেন না তাদের পরিবারের সঙ্গে।
এ নিয়ে সুলতান বায়েজিদ নামের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘ছুটিতো সবার একসঙ্গে হবে। তখন খুব ভিড় হবে। তাই পরিবারের অন্য সবাইকে পাঠিয়ে দিলাম। একসঙ্গে যেতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু অফিস থেকেতো এই মুহূর্তে ছুটি নেওয়া সম্ভব না। আমি শেষ কর্মদিবসে রওনা হবো।’
রেল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ১০টি আন্তঃনগর ও চারটি মেইল ট্রেনে করে শেষ গন্তব্য হিসেবে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ, চাঁদপুরে ট্রেন চলাচল করে। এরমধ্যে প্রতিদিন ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ৭০২টি, চট্টলা এক্সপ্রেসে ৮০১টি, মহানগর এক্সপ্রেসে ৭২১টি, মহানগর গোধূলীতে ৭০৩টি, সোনার বাংলায় ৭৮৭টি এবং তূর্ণায় ৭৪১টি সিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর ময়মনসিংহ গন্তব্যে বিজয় এক্সপ্রেসে ৭৮৫টি, চাঁদপুর গন্তব্যে মেঘনা এক্সপ্রেসে ৭২৯টি এবং সিলেট গন্তব্যে পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ৭১৯টি ও উদয়ন এক্সপ্রেসে ৭২৩টি সিটের ব্যবস্থা রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ৪টি মেইল ট্রেনে যাত্রীসেবা দিচ্ছে সংস্থাটি।
ঈদযাত্রার প্রথম দিন শনিবার যাত্রীর পরিমাণ কম উল্লেখ করে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ যাত্রী সেবার ব্যবস্থা রেখেছি, সে তুলনায় এখন যাত্রী কম। বিশেষ করে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুন যাত্রীর পরিমাণ বাড়বে। তখন যাত্রীরা বাড়ি বা তাদের গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আমরা স্ট্যান্ডিং টিকেটের ব্যবস্থা রেখেছি। ওই সময় প্রতিদিন ১২ হাজার যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে।’
অন্যদিকে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসে যাত্রীর সংখ্যা তেমন একটা চোখে পড়েনি। এ নিয়ে একে খান বাস কাউন্টার থেকে শ্যামলী পরিবহনের টিকেট বিক্রেতা উদয়ন আচার্য বলেন, ‘শুক্রবারে যাত্রীর কিছুটা চাপ ছিলো। এখন যাত্রীর তেমন চাপ নেই। আমাদের অনেকগুলো গাড়ি খালি সিট নিয়েই ছেড়ে যাচ্ছে। তবে আশা করছি, আগামী ২৬ তারিখ থেকে বাসে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এর আগে এরকমই থাকবে।