রেমিট্যান্সে গতি চাঙা করবে অর্থনীতি

সুপ্রভাত বিজনেস ডেস্ক »

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রেমিট্যান্স আসার গতি বেড়েছে। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স আসা একেবারেই থমকে গেলেও এখন বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ হু হু করে বেড়ে গেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আস্থা বাড়ছে প্রবাসীদের। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রবাসীরা চাঙা করতে চান দেশের অর্থনীতি।

আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে দেশে বৈধ পথে ১১৩ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে ৪ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি আগস্ট মাসের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯৪ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে সংঘাত- সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যায়। ঐ সময় দেশে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করেন অনেক প্রবাসী। যার প্রভাব পড়েছিল প্রবাসী আয়ে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার।

দেশের অর্থনীতি যখন সংকটে, তখন রেমিট্যান্স বেশি পরিমাণে আসার সংবাদ নিঃসন্দেহে নতুন করে আশা জাগাচ্ছে। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রবাসীরা চাঙা করতে চান দেশের অর্থনীতি।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্কের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেন, এটি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এজন্য আরও কিছুটা সময় দেখতে হবে। কারণ প্রবাসীরা যদি বৈধপথে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান, তাহলে আমাদের রিজার্ভ বাড়বে, সেইসঙ্গে আমাদের অর্থনীতিও শক্তিশালী হবে।