সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্য মতে, আইএমএফের বিপিএম—৬ হিসাব মান অনুযায়ী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪২৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। গত জুলাই থেকে চলতি মাসের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। আর্থিক সংকট কাটতে শুরু করায় ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলার কেনাবেচা করতে পারছে। তারা আরও বলেছেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ ক্ষয়রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। কারণ রেমিটেন্সের প্রবৃদ্ধি ঘটছে। গত অর্থবছরের তুলনায় এ অর্থ বছরে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অপরদিকে প্রবাসী আয়ে গত মাস অক্টোবরের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাস নভেম্বরেও। চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। খবর অর্থসূচক।
আর্থিত খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাসটিতে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। আবার বৈধ পথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এতে বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার গতি। গত দুই বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রিজার্ভ বাড়বে বলে আশ্বাস দেন। অপরদিকে আগামী ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশকে ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাতা সংস্থা বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব ঋণের অর্থ আসা শুরু করলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।