নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
‘চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ কাজে করোনা মহামারির কারণে সাময়িক ধীরগতি দেখা দিলেও এখন পুনরায় কাজের গতি ফিরে এসেছে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম দোহাজারী ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনকালে সার্বিক প্রস্তুতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার সময় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন একথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, ১২৮ কিলোমিটার রেললাইনের অবকাঠামো নির্মাণ প্রায় ৫০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন বদলে দেবে স্থানীয়দের জীবনমান। প্রথমে এই প্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার কোটি টাকা থাকলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকায়। এই প্রকল্পে যাত্রী ওঠা নামার জন্য নির্মাণ করা হবে ৯টি স্টেশন। এসব স্টেশন নির্মাণের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য আরও ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং শিগগির ঘুমধুম রেলপথের কাজ শুরু হবে।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার-রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত প্রায় ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালে এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তা শেষ হয়ে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) হেলাল উদ্দিনসহ অনেকে।