সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল খুলনা টাইগার্স ও ফরচুন বরিশাল। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে সাকিবের দল। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ১ ওভার বাকি থাকতে ১২৪ রানে অল আউট হয় খুলনা। বরিশাল জয় পায় ১৭ রানে। খুলনার হয়ে রান তাড়া করতে নামেন ফ্লেচার ও সৌম্য সরকার। একদম প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন এই দুজন। ফ্লেচার ৪ রান করলেও গোল্ডেন ডাক মারেন সৌম্য। এ সময় ৩১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন রনি তালুকদার ও মাহেদী হাসান।
অল্প সময়ের ব্যবধানে রনি ও মাহেদী দুজনই বিদায় নেন। মাহেদী ১৭ ও রনি ১৪ রান করেন। এরপর ইয়াসির আলি রাব্বী ও মুশফিকুর রহিমের ৪৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে খুলনা। ম্যাচে যখন প্রাধান্য বিস্তার করছে খুলনা, তখনই ২৩ রান করা ইয়াসিরকে বোল্ড করে ম্যাচে বরিশালকে এগিয়ে নেন মেহেদি হাসান রানা।
ইয়াসিরের জায়গায় নামা থিসারা পেরেরার টর্নেডো ইনিংস ফের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। মাত্র ৯ বলে ১৯ রান করেন পেরেরা। এরপর প্রসন্ন ২ এবং ফরহাদ রেজা ও শরিফুল্লাহ ১ রানে আউট হলে ম্যাচ ফের বরিশালের দিকে ঝুলে পড়ে। তবে অন্য প্রান্তে একাই লড়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। নবম উইকেট পতনের পর তিনিও আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারলেন না। তাই যেন স্কুপ করতে গিয়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে উইকেটের পিছে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন তিনি।
বরিশালের জয়ের নায়ক ছিলেন রানা। ১৯তম ওভারে একাই ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। সব মিলিয়ে ম্যাচে তার শিকার ৪ জন। এছাড়া মুজিব উর রহমান ও জ্যাক লিন্টট দুটি এবং শফিকুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল দুটির লড়াই শুরু হয় দুপুর সাড়ে বারোটায়। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বরিশালের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন জ্যাক লিন্টট ও ক্রিস গেইল। দুজনের জুটিতে আসে ২৬ রান। এরপর ৩৮ রানের জুটি গরেন গেইল ও জিয়াউর রহমান। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি জিয়াউর, করেন ১০ রান। দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর থেকেই আসা যাওয়ার মাঝে ছিলেন বরিশালের ব্যাটাররা। নুরুল হাসান সোহান ৮, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ ও তৌহিদ হৃদয় ২৩ রান করেন। একপ্রান্ত আগলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ক্রিস গেইল। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র
শেষদিকে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেনি। তাই স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ পায়নি বরিশালও। খুলনার হয়ে থিসারা পেরেরা, কামরুল ইসলাম রাব্বী ও ফরহাদ রেজা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান, শরিফুল্লাহ ও সেকুগে প্রসন্ন।