ফজলে এলাহী,রাঙামাটি »
হ্রদে পানির ইনফ্লো কম থাকায় শনিবার রাত ১০ টার নির্ধারিত সময়ে খোলা হয়নি কাপ্তাই বাঁধের জলকপাটগুলো। রবিবার সকালে গেটগুলা খোলা হবে বলে জানিয়েছেন কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের।
রাতে তিনি জানান, ঠিক সময়ে গেট খোলার জন্যই আমরা গিয়েছিলাম,সেখানে যাওয়ার পর পানির ইনফ্লো কম থাকায় এবং রাত্রিকালিন যেকোন পরিস্থিতি এড়াতে রাত দশটার পরিবর্তনে সকাল আটটায় গেটগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে ৬ ইঞ্চি করে গেট খোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সহকারি পরিচালক সাখাওয়াত কবীর জানিয়েছেন, হ্রদে পানির ইনফ্লো,রাত দশটার সময় ছিলো দশমিক ছয়,যা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। সেই কারণে এবং রাত্রিকালিন পরিস্থিতি বিবেচনায় সকালে খোলার সিদ্ধান্ত হয়। রাত দশটায় হ্রদে ১০৮ এমএসএল পানি ছিলো বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগে দেশের বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতার কাছাকাছি আসায় ও বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় শনিবার রাত ১০ টায় হ্রদের ১৬ টি স্প্রিলওয়ে বা জলকপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো ৬ ইঞ্জি করে। এতে করে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার সিএফএস পানি হ্রদ থেকে নিষ্কাষিত হয়ে কর্ণফুলি নদীতে পড়বে বলে নিশ্চিত করেছে কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। নতুন করে বৃষ্টিপাত বা পানির প্রবাহ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে খেইট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা সাধারণত ১০৯ ফুট। বর্তমানে পানির উচ্চতা প্রায় ১০৮ ফুট। ফলে বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটির বন্যা নিয়ন্ত্রনে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের ।
তিনি জানিয়েছেন একইসময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ৫ টি ইউনিটের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার সিএফএস পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রায় ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।