নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি :
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় রাজস্থলীর এক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দুই জনপ্রতিনিধিকে আটক করা হয়েছে। আটকরাকৃতরা হলেন কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা (৫৫) ও একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিংথোয়াই মারমা (৫০)।
এরমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসা অং মারমা উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন উজানছড়ি এলাকার মৃত মংবা মারমার ছেলে। ইউপি সদস্য ইউপি সিংথোয়াই মারমা উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানাধীন চংড়াছড়ি পূর্বপাড়ার খিজা মারমার ছেলে। নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আটকের পর রাজস্থলী থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গুলিতে নিহত তুইনুমং মারমার জ্যাঠাতো ভাই মংক্যচিং মারমা জানান, ‘আমার ভাইকে হত্যার পর তাঁর মা ওয়াংচিং¤্রা মারমা বাদি হয়ে ২৬ নভেম্বর রাজস্থলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জেএসএস সন্তু গ্রুপের দুজন এজাহারভুক্ত আসামিকে বৃহস্পতিবার আটক করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা একই সঙ্গে হত্যাকা-ে জড়িত অন্য আসামিদের আটকের দাবি ও হত্যাকা-ের বিচার চাই।’
এ প্রসঙ্গে রাঙামাটির রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফজল আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, ‘নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা চিৎমরম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছেন। আটককৃতদের রাজস্থলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
উল্লেখ্য, গত ২০ নেেভম্বর রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাসিন্দা তুইনুমং মারমাকে গুলি করে গুরুতর আহত করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এর পরদিন ২১ নভেম্বর তাঁর পরিবারের সদস্যরা সকালে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে ২২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পরে এ হত্যাকা-ের ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) নেতাকর্মীদের দায়ী করে ২৩ জনের উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে রাজস্থলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা ওয়াংচিং¤্রা মারমা।
Uncategorized