রাঙ্গুনিয়ায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে দোকান দখলে নেয়ার অভিযোগ

রাঙ্গুনিয়ায় আদালতের বিচারাধীন জায়গার দোকানঘরে তালা দিয়েছে প্রতিপক্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া »

রাঙ্গুনিয়ায় আদালতে বিচারাধীন জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা ও চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি দোকান দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য জায়গার মালিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে লালানগর ইউনিয়নের ধামাইরহাট এলাকায়।

মামলার বিবরণ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ধামাইরহাট বাজারের বারেক বিল্ডিং এলাকায় কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সাথে প্রতিবেশী কাজী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের ৫৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিরোধীয় জায়গা কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিমের দখলে রয়েছে। উক্ত জায়গায় ছয় বছর পূর্বে তিন শতক জমির ওপর চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন।

ভাড়াটিয়া ফজলুল কবির কন্ট্রাক্টর বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পনের হাজার টাকার মাসিক চুক্তিতে দোকানঘর ভাড়া নেন। এখানে তার ব্যক্তিগত অফিস এলমুনিয়াম ও অন্যান্য মালামাল রাখার জন্য গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতেন। নিজের জমি দাবি করে গত এক সপ্তাহ পূর্বে দোকানঘরটি কাজী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তালা ঝুলিয়ে সাইনবোর্ড দেয়। এখন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। কাজী মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বিরোধীয় জায়গা জোরপূর্বক দখলে নিতে মিজান দলবদ্ধ হয়ে দোকানে তালা দিয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আমি তালা খুলতে গেলে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন ব্যক্তি আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং জমি ও দোকান না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন, জাহেদ, কামাল জানান, মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় পেশী শক্তি ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে জমি ও দোকানঘর দখলে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতে বিচারাধীন জায়গার ওপর দোকানঘরে তালা দিয়ে ভাড়াটিয়ার গোডাউনের মালামাল ও ব্যক্তিগত অফিস অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা মোটেই ঠিক হয়নি, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। বিষয়টি পরিষদে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।