নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙামাটি
রাঙামাটি শহরের ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ খ্যাত ফিশারি সংযোগ সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে সড়কের পাশে অবস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি তীর্থস্থানে প্রতিমা ও ঘট ভাংচুর এবং দানবাক্স লুটের ঘটনা ঘটেছে। বৃক্ষদেবতা শ্রী শ্রী মগদেশ্বরী সেবাখোলা মন্দির নামের এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এহেন অনভিপ্রেত ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন রাঙামাটির বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
রাঙামাটি পূজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ খোকন কুমার দে জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার রাতের কোন একসময় এই ঘটনা ঘটলেও বুধবার সকালে ফিশারি সংযোগ সড়কে হাঁটতে যাওয়া পথচারিরা শ্রী শ্রী মগদেশ্বরী সেবাখোলা মন্দির নামের এই মন্দিরের প্রতিমা বাইরে পড়ে থাকতে দেখে মন্দিরের সেবায়াতদের ফোন করে। সেবায়াতরা আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি যে প্রতীমা কয়েক টুকরো হয়ে আছে, পূজোর ঘটগুলো ভাঙ্গা ও এলোমেলো পড়ে আছে এবং মন্দিরের দানবাক্স ভাঙ্গা। এসময় মন্দির চত্বরে রাঙামাটি শহরের কুটুমবাড়ি হোটেলের একটি খাবারের প্যাকেট এবং একটি পানির বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমরা সাথে সাথে বিষয়টি কোতয়ালী থানা পুলিশকে জানালে,পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।’
খোকন কুমার দে বলেন, আমরা ধারণা করছি যে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠিটি দেশব্যাপি অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে,তারাই হয়তো এই কাজটি করেছে। আমরা এই ঘটনার সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেনো,তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
বৃক্ষদেবতা শ্রী শ্রী মগদেশ্বরী সেবাখোলা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবুল মজুমদার জানিয়েছেন, আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না কে বা কারা এই অপকর্মটি করেছে। থানায় অভিযোগ দিচ্ছি। আশা করছি আইনশৃংখলাবাহিনী তদন্ত করে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। হামলায় মন্দিরের প্রতিমা, ঘট ও তালা ভাংচুর এবং দানবাক্স লুট হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাঙামাটির কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমি খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে গেছি এবং আলামত সংগ্রহ করেছি। এর সাথে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেনো তাদের খুঁজে বের করা হবে।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি এবং সাথে সাথেই এসপি’র সাথে কথা বলেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার কারণ ও কারা জড়িত সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা।’
Uncategorized