সুপ্রভাত ডেস্ক »
জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলা পরিষদের ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছেন নিয়োগপ্রার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টায় জেলা পরিষদের সব ফটক বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
পার্বত৵ চট্টগ্রামে সরকারের ২৮টি বিভাগের প্রশাসনিক কাজ জেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রমও রয়েছে। জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত এই বিভাগের অধীনেই রাঙামাটিতে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানানো হয়।
জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, ২০২২ সালে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৪৬২টি শূন্য পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল জেলা পরিষদ। পরে চলতি বছর ২৭ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় আবার এসব পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে এসব পদের বিপরীতে আবেদন করেন প্রায় সাত হাজার চাকরিপ্রত্যাশী। পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে সকালে নিয়োগপ্রার্থীরা জেলা পরিষদের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে জেলা পরিষদের সব ফটকে তালা দেন। এ সময় মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাঁদের।
বিক্ষুব্ধদের একজন সুগত চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আমরা বিক্ষোভ করছি। একই সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানাই।’
প্রার্থীদের অভিযোগ, এ পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা তিনবার স্থগিত করা হয়েছে। এতে প্রার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বেড়ে গেলেও তাঁদের অপেক্ষা কাটছে না।
এ বিষয়ে জানতে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার এবং জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বৈশালী চাকমার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে দুজনেরই ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রাঙামাটির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব মো. কফিল উদ্দিন বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক পদের প্রার্থীরা বিক্ষোভ করার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে।’


















































