শফিউল আলম, রাউজান »
রাউজানে দিন দিন বাড়ছে চায়ের পরিবর্তে কফি পানের চাহিদা। চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কফি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল ঘেঁষা ৫টি ইউনিয়নে কফি ও কাজুবাদামের চাষ করছেন কৃষকরা। একই সাথে চাহিদা রয়েছে কাজু বাদামেরও। কাজু বাদাম চাষ করে লাভের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন কৃষকরা। কফি ও কাজু বাদামের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের চারা, সারসহ যাবতীয় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে পাহাড়বেষ্টিত এলাকা সংলগ্ন হলদিয়া, ডাবুয়া, রাউজান, কদলপুর ও পাহাড়তলী ইউনিয়নে ২০টি কফি বাগান করেছেন ২০জন কৃষক। ২০টি বাগানে প্রায় আড়াই হাজারের মতো গাছের চারা রয়েছে। এসব চারা থেকে কফি উৎপাদন হবে। অন্যদিকে ৫টি ইউনিয়নে ২৫টি কাজু বাদামের বাগান রয়েছে। বাগানগুলোতে প্রায় তিন হাজার কাজু বাদামের চারা রোপণ করা হয়। কৃষক কমরু উদ্দীন বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আমি ৩০ শতক জমিতে কফি গাছের চারা রোপণ করেছিলাম। ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিটি গাছ ফলন দিতে শুরু করেছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগে আমাদের কৃষক বান্ধব সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী কফি পাম্পিং মেশিন দিয়েছেন। ৩০ শতক কফি বাগান থেকে বছরে অন্তত দেড়শ থেকে দুইশ কেজি কফি উৎপাদনের আশা করছেন কৃষক কমরু। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতি কেজি কফির দাম ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা। তাই লাভের আশা করছি। ৫০ শতক জমিতে ১৩৫ গাছের চারা রোপণ করেছেন উত্তর হিংগলা এলাকার কৃষক আবুল কালাম। তিনি বলেন, আমার বাগানে গাছগুলোতে ইতোমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীল বলেন, প্রতিকেজি কাজু বাদামের বর্তমান বাজার মূল্য অন্তত আড়াই হাজার টাকা। কাজু বাদাম প্রাথমিকভাবে ফলন দিতে শুরু করেছে। রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম কবির বলেন, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি কৃষকদের উন্নয়ন তথা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ যাবতীয় সামগ্রী বিনামূল্যে প্রদান করে আসছেন। একই ধারাবাহিকতায় কফি ও কাজু বাদাম উৎপাদন বৃদ্ধিতে গাছের চারা, সার প্রদানসহ কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। সম্প্রতি কফি উৎপাদন পরবর্তী পাম্পিং করার জন্য কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নতমানের মেশিন প্রদান করেছেন সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ সেবা প্রদান করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৈকত বড়ুয়া। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাগানে কফি চাষ শুরু হয়েছে। তবে কাজু বাদাম সবেমাত্র ফলন দিতে শুরু করেছে। প্রত্যাশিত ফলন আসলে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।