হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের চালান
নিজস্ব প্রতিবেদক »
সীমিত হচ্ছে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের রপ্তানি কার্যক্রম। সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর পোর্ট নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তা সীমিত করতে বলেছে। আর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যেসব পণ্য রফতানির উদ্দেশ্যে যায় সেগুলোর বেশিরভাগ সিঙ্গাপুর পোর্ট গিয়ে জমা হয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন দেশের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন শিপিং লাইন বাংলাদেশ থেকে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের চালান সীমিত করছে। অনেক শিপিং লাইন আর তা স্টাফিং করছে না।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত অন্যতম প্রধান একটি শিপিং কোম্পানি জানায়, অনেক শিপিং লাইন আগে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কনটেইনারে করে রপ্তানি করতো। কিন্তু এখন আর তা হচ্ছে না।
কেন হচ্ছে না জানতে চাইলে বিভিন্ন শিপিং কোম্পানি জানায়, আন্তর্জাতিক যে মানমাত্রায় পণ্য ভর্তিকরণ, প্যাকেটিং কিংবা মালামাল স্টাফিং করার কথা এখানে অনেক ক্ষেত্রে তা মানা হয় না। আর এতে ঝুঁকির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার পর থেকে সচেতনতা আরো বেড়েছে। কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না।
এদিকে শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী এই পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে আসছে। মূলত: টি কে শিল্প গ্রুপের মাসুদা ক্যামিকেল কারখানা থেকে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড প্রথম রপ্তানি হয়েছিল। পরবর্তীতে অন্যান্য কিছু কোম্পানি এই ব্যবসায় যুক্ত হয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো অনেক হাইড্রোজন পার অক্সাইড রয়েছে। বিশ্বজুড়ে এই পণ্যটির অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই সহজে তা নিষিদ্ধ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ইয়ার্ডে বিস্ফোরণের পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।