সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেহে যখন লোহিত রক্ত কণিকা বা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দেয় তখন তাকে রক্তশূন্যতা বলা হয়। এই সমস্যা হলে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। রক্তশূন্যতা হলে দেহে আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। রক্তশূন্যতাকে সাধারণ ভাষায় রক্তস্বল্পতাও বলে।
কেবল বড়দের নয়, রক্তশূন্যতা হতে পারে শিশুদেরও। শরীরে রক্তের অভাব হলে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন রক্তশূন্যতা হলে ক্লান্ত লাগে আর দুর্বলতা ভর করে। তবে এগুলো ছাড়াও আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ যেসব লক্ষণ এড়িয়ে যান। চলুন এমন কিছু উপসর্গ জেনে নিই-
অ-খাদ্য খাওয়ার প্রতি তৃষ্ণা
শিশুদের মধ্যে অনেকসময় চক, তুষার, ধুলো, ময়লা বা নুড়ির মতো অখাদ্য জিনিস মুখে নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। অনেকসময় বয়স্কদের মধ্যে এমন অ-খাদ্য খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে। এগুলো মূলত আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ। শিশু বা বয়স্ক কারোর অ-খাদ্য খাওয়ার প্রবণতা দেখলে সচেতন হোন।
রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম
কিছু মানুষের একটানা পা নাড়াতে ইচ্ছে করে। রাতে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। পা স্থির রেখে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে। এই ধরনের মানুষ পায়ে ব্যথা অনুভব করেন। রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম কম আয়রনের মাত্রা বা গুরুতর আয়রনের অভাবের কারণে হয়।
চুল পড়া
হঠাৎ করেই চুল খুব বেশি পড়ে যাচ্ছে কিংবা চুল খুব পাতলা হয়ে যাচ্ছে? দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দিলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ভেঙে যেতে শুরু করে। তাই মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়লে সতর্ক হোন।
অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা
সাধারণ ঘরের তাপমাত্রায়ও যদি আপনি ঠান্ডা অনুভব করেন, তাহলে বুঝে নিন শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। এমনটা হলে আয়রন লেভেল পরীক্ষা করিয়ে নিন। কারণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগা রক্তশূন্যতার একটি লক্ষণ হতে পারে।
আয়রনের ঘাটতি পূরণের উপায়
আয়রনের ঘাটতির ক্ষেত্রে, প্রায়ই প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি একটি ভিটামিন খাওয়াও জরুরি।
ভিটামিন সি এর গুরুত্ব
নিরামিষ খাবার দিয়ে যদি আয়রনের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন, তাহলে খাবার পাতে ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট রাখা এবং এই ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ভিটামিন সি শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়ায়।
উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্তের পরীক্ষা করার। রক্তশূন্যতা হলে তিনিই পরামর্শ দেবেন।