সুপ্রভাত ডেস্ক »
রংপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ পাঠিয়ে বিনিময়ে জলহস্তী পেয়েছে চট্টগ্রাম। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার প্রাণীকূলে ঠাঁই পেল জলহস্তীও। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে একটি পুরুষ জলহস্তী চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে। কয়েকদিনের মধ্যে একটি স্ত্রী জলহস্তীও আসবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ। খবর সারাবাংলার।
‘প্রাণী বিনিময়’ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় দেওয়া হয়। বিনিময়ে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া জলহস্তী চট্টগ্রামে পাঠাতে সম্মত হয়।
জানতে চাইলে ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘আমরা গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে দুই বছর বয়সী এক জোড়া বাঘ রংপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছে দিই। বিনিময়ে ঢাকা থেকে ১২ বছর বয়সী একটি পুরুষ জলহস্তী পেয়েছি। ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়। আর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। সেজন্য আমরা রংপুরকে বাঘ দিলেও মন্ত্রণালয় ঢাকা থেকে আমাদের জন্য জলহস্তীর ব্যবস্থা করেছে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের শেষদিকে মন্ত্রণালয়ের কাছে জলহস্তী চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমান। এ প্রক্রিয়া অগ্রসর না হওয়ায় ২০২২ সালের ২২ আগস্ট আবারও চিঠি দেওয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিনিময় হিসেবে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা থেকে রংপুরের জন্য এক জোড়া বাঘ এবং ঢাকার জন্য এক জোড়া সাম্বার হরিণ ও এক জোড়া ইন্দোনেশিয়ান আয়াম সিয়ামি মোরগ দেয়ার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি রংপুর চিড়িয়াখানায় বাঘ পাঠানো এবং জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে জলহস্তী চট্টগ্রামে আনার যাবতীয় ব্যয়ভার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কাছে বহন করার শর্ত দেওয়া হয়।
১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ রংপুরে বাঘ পাঠানো এবং ঢাকা থেকে জলহস্তী আনার ব্যয়ভার বহন করার শর্ত মেনে নিয়ে চিঠি দেয়। অন্য প্রাণীগুলো চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত না থাকায় সেগুলো প্রজনন সাপেক্ষে পরবর্তী দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায় মন্ত্রণালয়।
সিদ্ধান্তের সাত মাস জলহস্তী পেয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শুভ সারাবাংলাকে বলেন, ‘জলহস্তীর জন্য আমরা নতুন অবকাঠামোসহ বাসস্থান তৈরি করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্ত্রী জলহস্তীটিও চট্টগ্রামে পৌঁছবে। আশা করছি, জলহস্তীগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় খাপ থাইয়ে নিতে পারবে।’