সুপ্রভাত ডেস্ক :
ঐশ্বরিয়া রায় এবং রানি মুখার্জি দু’জনেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একই সময়ে। ক্যারিয়ারের শুরুতে সম্পর্ক ভাল থাকলেও জানেন কি, এই দুই বলিস্টারের মধ্যে প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ! দু’জনের বিয়েতেই নিমন্ত্রিত ছিলেন না দু’জনেই। যত কা- এক খানকে ঘিরেই। কী হয়েছিল?
১৯৯৭ সালে ‘রাজা কি আয়েগি বারাত’ সিনেমার মধ্যে দিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে রানি মুখার্জির। ছবির পরিচালক ছিলেন অশোক গায়কোয়াড়। অন্যদিকে ওই একই বছরে হিন্দি ছবিতে ডেবিউ করেন ঐশ্বরিয়া। ছবির নাম ‘অউর প্যায়ার হো গয়া’। বিপরীতে ববি দেওল।
রানি এবং ঐশ্বরিয়া দু’জনেরই প্রথম ছবি হিট হয়নি। কিন্তু রানির অভিনয় ক্ষমতা নজর কাড়ে পরিচালক-প্রযোজকদের। নজর কাড়ে আমির খানেরও। আমিরই তাকে ‘গুলাম’ ছবিতে অভিনয় করার অফার দেন।
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুলাম’ সুপারহিট হয়। অন্যদিকে, ঐশ্বরিয়ার কাছেও আসতে থাকে ছবির অফার। তার নীল চোখ, মিষ্টি হাসিতে তখন তোলপাড় বলিউড। আমির এবং ঐশ্বরিয়া আগে থেকে বন্ধুত্ব থাকলেও মিস্টার পারফেকশনিস্টের প্রিয় হয়ে ওঠেন রানি। অন্যদিকে, ঐশ্বরিয়া তখন সালমানের ভালোবাসা।
তার সঙ্গে সালমানের ‘হাম দিল দে চুকে সানম’ তখন সুপারহিট। রিল এবং রিয়েল দু’টি ক্ষেত্রেই সালমান এবং ঐশ্বরিয়া জুটি তখন কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদিকে সালমান এবং শাহরুখ তখন গলায়-গলায় বন্ধু। সেই সুবাদে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গেও শাহরুখের খাতির ছিল বেশ ভালোই। ‘মহব্বতে’ সহ বেশ কিছু ছবিতে শাহরুখের অনুরোধে অতিথি শিল্পী হিসেবেও অভিনয় করছিলেন ঐশ্বরিয়া। ‘দেবদাস’ ছবিতে তাদের জুটি পছন্দও হয়েছিল দর্শকদের।
এমন সময়, ২০০৩ সালে ‘চালতে চালতে’ ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে কাস্ট করা হয় ঐশ্বরিয়াকে। শোনা যায়, শুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে সময় ঐশ্বরিয়া এবং সালমানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক টালমাটাল।
ইন্ডাস্ট্রির প্রায় প্রত্যেক হিরোকে নিয়েই ভাইজান ঐশ্বরিয়াকে সন্দেহ করেন। এমন সময়েই ‘চালতে চালতে’ ছবির সেটে এসে এক দিন আচমকাই ঝামেলা জুড়ে দেন সালমান।
শাহরুখ কোনো ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে ঐশ্বরিয়াকে সেই ছবি থেকে বাদ দিয়ে রানিকে নেন। ঝামেলার সূত্রপাত সেখান থেকেই। ঐশ্বরিয়া জানিয়েছিলেন, তাকে যে ছবি থেকে বাদ দেয়া হবে সে কথা একবারও জানাননি শাহরুখ।
বলিউডে ছবি হাতছাড়া হওয়া নতুন কিছু নয়। তাই বলে কথা বলা বন্ধ! খুব একটা দেখা যায় না। রানি-ঐশ্বরিয়ার মধ্যেও কিন্তু সে জন্য মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়নি। অবশ্য এর পিছনে ছিল আরো এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
সে সময় অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রানি। কিন্তু সালমান এবং বিবেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেই আচমকাই অভিষেক এবং ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের গুঞ্জন বলিউডের বাতাসে ভেসে বেড়াতে থাকে।
কথা কানে যায় রানির। তার আশঙ্কাই সত্যি হয়। রানির সঙ্গে অভিষেকের ব্রেক আপের পর অ্যাশের গলাতেই মালা দেন ছোটে বচ্চন। ইন্ডাস্ট্রি বলে, ঐশ্বরিয়ার জন্যই ভেঙে গিয়েছিল ‘বান্টি অউর বাবলি’ জুটি।
গোটা বলিউড নিমন্ত্রিত থাকলেও অভি-অ্যাশের বিয়েতে ডাকাও হয়নি রানিকে। বচ্চন পরিবারে তিনি আজও ব্রাত্য। যদিও পাল্টা দিয়েছিলেন রানিও।
আদিত্য চোপড়াকে বিয়ে করার সময়েও তিনি আমন্ত্রণ জানাননি অভি-অ্যাশকে। প্রকাশ্যে কোনো দিনই এ বিষয়ে দুই নায়িকা মুখ না খুললেও ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানেন এই দুই সুন্দরীর ঠা-া লড়াইয়ের কথা।
খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
বিনোদন