নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
চকরিয়া উপজেলার যুবলীগ নেতা পারভেজ বাবু খুনের মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি ইউছুপ আলীকে পাঁচমাস পর বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া র্যাব ১২ এর একটি টিম বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই মেহেদী হাসান।
নিহত পারভেজ বাবু চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তরছপাড়া এলাকার নাজেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত ইউছুপ আলী একই গ্রামের মৃত ইছহাক আহমদের ছেলে। নিহত পারভেজ বাবু ও ইউছুপ আলী সম্পর্কে আপন চাচা-ভাতিজা।
নিহত পারভেজ বাবুর বাবা নাজেম উদ্দিন জানান, চলতি বছরের ৫ জুলাই সকালে আমার কেনা জমি দখল করতে দলবল নিয়ে মহড়া দেয় আপন ছোট ভাই মোহাম্মদ ইউছুফ আলী। ওইসময় দখলে বাধা দিতে গেলে আমার ছেলে পারভেজ বাবুর উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার একপর্যায়ে তাঁরা পারভেজ বাবুর মাথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
মারাত্মক আহত অবস্থায় আমার ছেলে পারভেজ বাবুকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চমেক হাসপাতালে টানা ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান পারভেজ বাবু।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত যুবলীগ নেতা পারভেজ বাবুর পিতা নাজেম উদ্দিন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় ওইসময় ৮জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে ইউছুপকে এক নম্বর আসামি করা হয়। তবে ঘটনার পর পাঁচমাস পেরিয়ে গেলেও মামলার এজাহারনামীয় আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না বলে নিহতের পরিবার বারবার অভিযোগ তুলেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া থেকে র্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি ইউছুপকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, পারভেজ বাবু হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি ইউছুপ আলী বর্তমানে বগুড়া র্যাব ১২ এর হেফাজতে রয়েছে। এখন আদালতের মাধ্যমে তাঁকে চকরিয়া থানায় নিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।