নিজস্ব প্রতিবেদক »
সংস্কার শেষে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুত কালুরঘাট সেতু। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশেষজ্ঞরা গাড়ি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলেই চালু করা হবে কালুরঘাট সেতু।
সেতুর দক্ষিণ পাশ দিয়ে নির্মিত ওয়াকওয়ের কাজ শেষ হয়েছে আগেই। ইতোমধ্যে কর্ণফুলী নদীর উভয় পারের মানুষ ওয়াকওয়ে দিয়ে চলাচল শুরু করেছে।
৯০ বছরের পুরনো কালুরঘাট সেতুতে যানবাহন চলাচল বন্ধ এক বছরের বেশি সময় ধরে। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৪ মাস সংস্কার কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রকচার লিমিটেড। বুয়েট প্রকৌশলীদের পরামর্শে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয় কালুরঘাট সেতু।
সংস্কার কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচলের পথ থাকায় রেল ট্র্যাকের অভ্যন্তরে পানি জমে রেলপাত ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এ কারণে বছরের বিভিন্ন সময় রেল ট্র্যাক মেরামতের প্রয়োজনে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ রাখা হতো। তবে এবার বিদ্যমান পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হয়েছে। এরপর ওই কংক্রিট ঢালাইয়ের ওপর পিচ দিয়ে সড়কপথ নির্মাণ করা হয়। এতে সড়ক ও রেলপথ উভয় পথই আগের চেয়ে মজবুত থাকবে।
বর্ষা মৌসুম কিংবা কুয়াশার পানি না জমে কংক্রিট ঢালাইয়ের অভ্যন্তরীণ ড্রেনেজ সিস্টেম দিয়ে নদীতে পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকায় রেল ট্র্যাক, ক্লিপ ও সেতুর ইস্পাতের পাটাতন ক্ষয় হবে না। বিশেষ প্রযুক্তি ও বুয়েটের পরামর্শে নতুন করে নির্মাণ করায় মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারযোগ্য থাকবে বলে মনে করছেন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা।
এখন গাড়ি চলাচলের জন্য সেতু প্রস্তুত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বুয়েটের তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল সেতু পরিদর্শনে আসবেন। তারা দেখে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে কখন গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে কালুরঘাট রেল সেতু সংস্কার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রেল সচিব আবদুল বাকী। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘সংস্কার শেষ হলেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে। ধারণা করছি অল্পকিছু দিনের মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।’