কাজী মো.সাইফুন নেওয়াজ ♦ কো-অর্ডিনেটর, বিআইজিআরএস, চট্টগ্রাম সার্ভিল্যান্স »
সুপ্রভাত : চট্টগ্রামে যানজট বাড়ছে। ফলে প্রতিনিয়ত জনজীবনেও নানামুখী ভোগান্তি বাড়ছে। এ অবস্থা কেন সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন?
নেওয়াজ : আমার অভিজ্ঞতার আলোকে বলবো, চট্টগ্রামে তুলনামূলকভাবে গণপরিবহণের সংখ্যা কম। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা খুবই বেড়ে যাচ্ছে। যানজট নিরসনে গণপরিবহণের সংখ্য বাড়াতে হবে। এখানে রিকশাগুলোর আধিক্য বেশি এবং ফুটপাতগুলো চলাচল উপযোগী না থাকাতে মানুষ অনেক জায়গায় সড়ক ব্যবহার করছেন। ফুটপাত দখল হয়ে আছে, ভাঙাচোরা হয়ে আছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাবে যানবাহনগুলোর জটলা পাকানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর গণপরিবহণগুলো একটা আরেকটাকে আটকে চলার প্রবণতা বন্ধ হতে হবে। আর নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানোর প্রতিযোগিতা বন্ধ হতে হবে।
সুপ্রভাত: যানজট নিরসনে কার দায় কতটুকু
নেওয়াজ : এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনকে রাস্তা সংষ্কার, ফুটপাত দখলমুক্ত করার দায়িত্ব নিতে হবে। বিআরটিকে রাস্তায় যেসব গণপরিবহন রয়েছে সেগুলোর ফিটনেস তদারক করতে হবে। সেই সঙ্গে ট্রাফিক বিভাগকে দেখতে হবে যানবাহনগুলো যেনো নির্দিষ্ট ষ্টপেজের বাইরে যাত্রী ওঠানামা না করে।
সুপ্রভাত: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে ট্রাফিক পুলিশের সক্রিয়তা কমে যাওয়াকেও অনেকে যানজটের জন্যে দায়ী করেন। এ বিষয়ে কী বলবেন
নেওয়াজ : বিভিন্ন সময়ে যে ট্রাফিক বক্সগুলো পুড়ে গেছে এগুলো সংষ্কার করা হলে ট্রাফিক পুলিশের সক্রিয়তাও বাড়বে।
সুপ্রভাত: ডিজিটাল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কি বলবেন
নেওয়াজ: এক্ষেত্রে প্রথমে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালিয়ে এর কার্যকারিতা দেখতে হবে। কারণ আমাদের তো যান্ত্রিক-অযান্ত্রিক সব ধরনের যানবাহন চলে বিভিন্ন সড়কে।