প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স), সিএমপি
সুপ্রভাত : চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড় কাটার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আইনি পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। তবুও এ অপরাধ বন্ধ হয়নি। এ অবস্থায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কী ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার : বিগত সরকারের আমলেও পাহাড় কাটা বন্ধ নিয়ে পুলিশের অবস্থান কড়াকড়ি ছিল। ছাত্র আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের পর পাহাড় দখলদারদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সিএমপির কাছে দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশনা আছে।
সুপ্রভাত : এ যাবত কালে আপনাদের গৃহীত উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ সম্পর্কে যদি কিছু বলুন।
অ:পুলিশ কমিশনার : গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আকবর শাহ থানায় অভিযান হয়েছে, অভিযানে পাহাড়কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কোনো মামলা আসলেতাও আমরা খতিয়ে দেখছি।
সুপ্রভাত: এ ধরনের অপরাধ দমনে আপনাদের কোনো সীমাবদ্ধতা অথবা লজিস্টিক সাপোর্টের কোনো ঘাটতি রয়েছে কিনা?
অ:পুলিশ কমিশনার :বর্তমানে আমাদের লজিস্টিক সাপোর্টের প্রয়োজন নেই।
সুপ্রভাত : পাহাড় কাটার কোনো ঘটনা দেখামাত্র তা সচেতন মহলের পক্ষ থেকে পুলিশবাহিনীকে জানানো এবং সে কারণে অপরাধীদের রোষানল থেকে বাঁচার নিশ্চয়তায় আপনাদের করণীয় কি থাকে?
অ:পুলিশ কমিশনার : অপরাধ দমনে আমাদের কেউ সহযোগিতা করলে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কখনো তাদেরকে প্রকাশ্যে আনিনা। আমাদেরকে অনেক সচেতন নাগরিক সহযোগিতা করছেন। আমরা আশা করি, এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা পাবো।
সুপ্রভাত: অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধী পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম থেকে নিজেদের আড়াল করার সুযোগ পাচ্ছে, এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য
অ:পুলিশকমিশনার : পাহাড় কাটা কিংবাএ ধরনের অন্য কোনো অপরাধ কর্মকা-ের সঙ্গে পুলিশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতএমন তথ্য আমাদের কাছেআসেনি। যদি আমাদের কেউ জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও সিএমপি ব্যবস্থা নেবে।